Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

আবার হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের নির্যাতিতা। সোমবার কালীঘাট থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লিখিত অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে কালীঘাট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান তিনি।

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৫৬
Share: Save:

ফের বিতর্কে সেই নিগৃহীতা

নিজস্ব সংবাদদাতা

আবার হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের নির্যাতিতা। সোমবার কালীঘাট থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। লিখিত অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে কালীঘাট এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যান তিনি। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা ও রেস্তোরাঁর ম্যানেজার এবং মালিকও তাঁকে ঢুকতে বারণ করেন। অভিযোগ, কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, ওই রেস্তোরাঁয় তাঁর চার মাসের বিল বাকি রয়েছে। এ ছাড়া পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই তাঁকে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেওয়া যাবে না। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই মহিলা প্রায় রাত ১২টা নাগাদ রেস্তোরাঁ বন্ধের সময়ে এসেছিলেন। তাই তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধদমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

খুনে ধৃত ১

বেঙ্গালুরুতে নিজের শ্যালককে খুন করে কলকাতায় গা-ঢাকা দিয়েছিল এক ব্যক্তি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সোমবার কালীঘাট থানার পুলিশের সহযোগিতায় বেঙ্গালুরু পুলিশ কালীঘাট থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম ধর্মেন্দ্র কপূর। বাড়ি বেঙ্গালুরুতেই। পুলিশ জানায়, বছরখানেক আগে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে হয় বেঙ্গালুরুর রমণী কপূরের। কিন্তু সেই সম্পর্ক মেনে নেননি রমণীর ভাই মৌসম। তা নিয়ে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত মৌসমের। ২৮ অগস্ট ধর্মেন্দ্র মৌসমকে খুন করে বলে অভিযোগ। তার পরেই পালায় ধর্মেন্দ্র। তদন্তে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানতে পারে, কলকাতায় রয়েছে ধর্মেন্দ্র। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল আসে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে সরশুনায় ধর্মেন্দ্রর এক ভাইয়ের খোঁজ মেলে। এ দিন সেখানে হানা দিয়ে ধর্মেন্দ্রকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হবে।

ফের মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন

ফের কবি সুভাষ স্টেশনের ওয়াই সাইডিংয়ে আটকে গেল মেট্রো। ফলে সোমবার সাড়ে বারোটা থেকে কিছুক্ষণ বিঘ্নিত হল মেট্রো চলাচল। ঘণ্টাখানেক মেরামতির পরে তা স্বাভাবিক হয়। মেট্রো সূত্রে খবর, এর জেরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে প্রতিটি ট্রেনই ৪-৫ মিনিট দেরিতে চলে। বাতিল হয় একটি ডাউন ট্রেন। মেট্রো সূত্রে খবর, ওয়াই সাইডিংয়ে মেট্রো ঘোরানো হয়। সেখানে পয়েন্ট আছে। ওই পয়েন্টেই গোলমাল হওয়ায় বারবার আটকাচ্ছে ট্রেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন কেন ওই পয়েন্টে গোলমাল হচ্ছে, কেন তা পাল্টানো যাচ্ছে না, তার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি মেট্রোকর্তারা।

‘ছাত্র নিগ্রহ’, ধৃত

চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক। সোমবার, পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার ঘটনা। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, এ দিন সকালে শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গেলে ঘটনাটি ঘটে। ধৃতের নাম প্রদীপ দাস। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে পস্কো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

চেক জালিয়াতি

জাল চেক দিয়ে দোকান থেকে জামাকাপড় কেনার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার, সতীশ মুখার্জি রোডের ঘটনা। ধৃতের নাম প্রিয়াঙ্কা পুগলি। তিনি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার একটি ভুয়ো চেক দিয়ে জামাকাপড় কেনেন। নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ঠিক দিয়েও শালিনী জৈন নামে চেকে স্বাক্ষর করেন প্রিয়াঙ্কা। পরে তা ভাঙাতে গিয়ে দোকান-মালিক রাজেশ পারিখ জানতে পারেন চেকটি জাল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রিয়াঙ্কাকে তাঁর বাড়ি থেকে ধরা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আলিপুর এবং চারু মার্কেট থানাতেও একই ধরনের অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জীবনাবসান

প্রয়াত হলেন মৎস্যবিজ্ঞানী অধ্যাপক হীরালাল চৌধুরী। ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩। তাঁর এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে মাছের প্রজনন ঘটানোর গবেষণায় তিনি ছিলেন পথিকৃৎ। এই প্রবীণ বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত মৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষক ও ছাত্রেরা। দেশে মৎস্যচাষের বিস্তারেও তাঁর অপরিসীম ভূমিকা ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE