Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টুকরো খবর

ডালহৌসির বকুলতলা মোড়ে ট্রামলাইনের জোড়ার মুখ ভেঙে প্রায় আলাদা হয়ে গিয়েছে লোহার অংশ। তৈরি হয়েছে কয়েক ফুটের ব্যবধান। বড় গাড়ির ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা না হলেও একটু অসাবধান হলেই দু’চাকা, তিন চাকার যান অথবা পথ চলতি মানুষের দুর্ঘটনা ঘটছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহণ ভবন থেকে কয়েক মিটারের দূরে এমন দশা হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। কয়েক মাস ধরেই এমন অবস্থা।

শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

ট্রামলাইনে মরণ ফাঁদ

সুপ্রিয় তরফদার • কলকাতা

ডালহৌসির বকুলতলা মোড়ে ট্রামলাইনের জোড়ার মুখ ভেঙে প্রায় আলাদা হয়ে গিয়েছে লোহার অংশ। তৈরি হয়েছে কয়েক ফুটের ব্যবধান। বড় গাড়ির ক্ষেত্রে তেমন সমস্যা না হলেও একটু অসাবধান হলেই দু’চাকা, তিন চাকার যান অথবা পথ চলতি মানুষের দুর্ঘটনা ঘটছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, পরিবহণ ভবন থেকে কয়েক মিটারের দূরে এমন দশা হলেও কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। কয়েক মাস ধরেই এমন অবস্থা। প্রতি দিনই এখান দিয়ে হাজার খানেক গাড়ি যায়। ঢিল ছোড়া দূরত্বে মহাকরণ,রাজভবনও। হাওড়া থেকে ধর্মতলা এবং বেহালা, শিয়ালদহ থেকে হাওড়া এবং খটিরবাজার থেকে শিয়ালদহ-সহ বিভিন্ন দিকে যাওয়ার অসংখ্য বাস এখান দিয়ে চলে। যে কোনও দিন বড় অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। এক নিত্যযাত্রী বলেন, “যাঁরা জানেন তাঁরা ভাঙা অংশের কাছে আটকে যান। নতুনদেরই বিপদের আশঙ্কা বেশি।” কংক্রিটের ঢালাই করে ট্রামলাইনের মেরামতি হলেও এই অবস্থা কেন? কলকাতা ট্রাম কোম্পানির এক কর্তা বলেন, “আমি বিষয়টি জানতাম না। কর্মী পাঠিয়ে দেখছি। দ্রুত সারাই করে দেওয়া হবে।”

আগুনে আতঙ্ক ন্যাশনালে

নিজস্ব সংবাদদাতা

এসএসকেএম হাসপাতালের পরে আগুন লাগল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। আমরির স্মৃতি উস্কে শুক্রবারের রাতের ওই ঘটনায় রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছু রোগীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দমকল এসে আগুন নেভায়। রাত ১০টা নাগাদ হাসপাতালের চারতলায় নিউরোলজি বিভাগের সেমিনার রুম থেকে আগুন বেরোতে দেখে কর্মীরা চেঁচামেচি শুরু করে দেন। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই বিভাগে রোগীরা। তাঁদের দ্রুত সরিয়ে আনা হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন প্রায় আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের ধারণা, সেমিনার রুমের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল। হাসপাতালের খবর, চারতলায় নিউরোলজি বিভাগের সেমিনার রুমের পাশেই আইটিইউ। সেখানে কয়েক জন রোগী ছিলেন। ধোঁয়া দেখেই কর্মীরা সেই রোগীদের পাশের ঘরে সরিয়ে নিয়ে যান। আগুন নেভার পরে রোগীদের আইটিইউ-এ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার পীতবরণ চক্রবর্তী বলেন, “দমকল ও পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।”

উদযাপন

আনন্দমার্গ সাংস্কৃতিক শাখার রেনেশাঁ আর্টিস্ট অ্যান্ড রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে হয়ে গেল এক অনুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত। নৃত্যগোষ্ঠী ‘লাবণ্য’ পরিবেশন করে নৃত্যনাট্য ‘উত্তরণ’।

প্রৌঢ়ের অপমৃত্যু

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। শুক্রবার, সল্টলেকে। মৃতের নাম হীরালাল বিশ্বাস (৬১)। পুলিশ জানায়, একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে থাকতেন হীরালালবাবু। এ দিন প্রতিষ্ঠানের তিনতলা থেকে কিছু পড়ার শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা হীরালালবাবুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ দিনই সল্টলেকের শান্তিনগরে উদ্ধার হয় এক সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ। পুলিশ শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

চার্জ গঠন ১৯ বছর পরে

এক ছাত্রীকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হল ১৯ বছর পরে। বৃহস্পতিবার আলিপুরের অষ্টম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলালের এজলাসে হাজির হয়েছিলেন জামিনে মুক্ত সাত জন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারক সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি অভিযোগেও চার্জ গঠন করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে ১৫ জানুয়ারি থেকে। সুস্মিতা ধর নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ১৯৯৫-এর ১৩ মে একটি দলের সঙ্গে চাঁদিপুরে বেড়াতে যান। দলে ছিলেন দেবাঞ্জন দাস নামে যাদবপুরের এক শিক্ষকও। ১৬ মে সুস্মিতা বাদে সবাই ফিরে আসেন। তাঁঁদের জিজ্ঞাসা করেও সুস্মিতার খোঁজ পাননি তাঁর বাবা শ্যামলকুমার ধর। ২১ জুন তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত করে সিবিআই-ও। কিন্তু সুস্মিতার খোঁজ মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE