বিপর্যয়: পথ দুর্ঘটনায় উল্টে গিয়েছে বাস। সোমবার বিদ্যাসাগর সেতুতে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
ভরবিকেলের ব্যস্ত বিদ্যাসাগর সেতু। হঠাৎই বারাসত-বোটানিক্যাল গার্ডেন রুটের একটি যাত্রিবাহী বাস তীব্র গতিতে ছুটে এসে টোল প্লাজার কিছু আগে সোজা ধাক্কা মারল একটি ম্যাটাডরের পিছনে। তার চোটে ম্যাটাডরটি ধাক্কা মারল সেতুর উপরে একটি বাতিস্তম্ভে। অন্য দিকে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সেতুর মাঝের ডিভাইডারে উঠে কাত হয়ে যায়। সোমবার বিকেলের এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বাস ও ম্যাটাডরের চালক। তাঁরা হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তবে যাত্রীদের কারও তেমন চোট লাগেনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার জেরে বিদ্যাসাগর সেতুতে যানজট তৈরি হয়। তার প্রভাব পড়ে এ জে সি বসু রোড ও আশপাশের রাস্তাগুলিতে। ফলে ওই সব রাস্তায় থমকে যায় যানবাহনের গতি। পুলিশের একটি সূত্রের খবর, যানজট ছাড়ানো নিয়ে ট্র্যাফিক অফিসারেরা যখন নাজেহাল, তখনই খবর আসে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরোচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক দিকের রাস্তা খালি করে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িকে জায়গা করে দেওয়া হয়।
লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেতুর উপরে গাড়ির গতি এমনিতেই একটু বেশি থাকে। কিন্তু বাসটি কেন ধাক্কা মারল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, না কি দ্রুত গতির জন্য চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন, তা-ও দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, গাড়ির গতি এতই বেশি ছিল যে ধাক্কার অভিঘাতে বাসচালক রাজেশ প্রামাণিকের দেহের নীচের অংশ সিট ও স্টিয়ারিংয়ের মাঝে আটকে যায়। পুলিশ গিয়ে তাঁকে কোন ওক্রমে উদ্ধার করে।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন কারণে শহরের নানা প্রান্তে যানজট হয়েছে। সকালে মা উড়ালপুলে একটি গাড়ি খারাপ হওয়ায় পার্ক সার্কাসমুখী রাস্তায় যানজট হয়েছিল। রেকার দিয়ে গাড়িটি সরানোর পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। ধনতেরস এবং দীপাবলির কেনাকাটার জন্য বিকেল থেকেই মহাত্মা গাঁধী রোড, ব্রেবোর্ন রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির গতি ছিল শ্লথ। আবার একটি সমাবেশের জন্য রফি আহমেদ কিদোয়াই রো়ড এবং এস এন ব্যানার্জি রোডেও গাড়ি চলাচল সাময়িক বন্ধ করতে হয়েছিল। তার ফলেও যানজটে ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy