জাকারিয়া স্ট্রিটের ব্যবসায়ী খুনে আরও দুই অভিযুক্তকেও অবশেষে গ্রেফতার করল পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান বিশাল গর্গ জানান, ধৃতদের নাম আনন্দ মল্লিক ওরফে কাল্লু এবং মহম্মদ রিয়াজ। দু’জনেই একবালপুরের বাসিন্দা। বুধবার রাতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে কাল্লু। বৃহস্পতিবার দিল্লির সদর বাজার থেকে পাকড়াও করা হয় রিয়াজকে। তাকে এ দিনই রাজধানীর তিসহাজারি আদালতে হাজির করানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আর এক অভিযুক্ত অংশুকুমার সিংহ ওরফেগোল্টুকে বুধবার সকালেই বিহারের বৈশালী থেকে পাকড়াও করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা।
গত ২৩ অক্টোবর রাতে জাকারিয়া স্ট্রিটের জহুরি বাজারের ব্যবসায়ী মহম্মদ সেলিমের দোকানে লুঠ হয়। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় সেলিমকে। ওই ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয়স্থানীয় এক দোকানদার মহম্মদ আরশাদফিরদৌসিকে। গোয়েন্দাদের দাবি, ফিরদৌসি ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী।
কিন্তু লুঠপাট ও খুনের কাজ করানো হয়েছিল ওই তিন জনকে দিয়ে। ফিরদৌসির বাড়িও একবালপুরে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যবসার পরিস্থিতি ভাল না হওয়ায় রত্ন ব্যবসায়ী সেলিমের সঙ্গে পরিচিত হন আরশাদ। রত্ন ব্যবসা দেখে তাঁর ধারণা হয়, সেলিমের দোকান লুঠতে পারলে চটজলদি মোটা টাকার মালিক হওয়া যাবে। সেই মতোই শাগরেদদের আসানসোলের ব্যবসায়ী সাজিয়ে সেলিমকে রত্ন বিক্রির টোপ দেওয়া হয়। আর বিকিকিনির ছুতোয় লুঠ করা হয় সেলিমের দোকানে।
তবে শেষরক্ষা হয়নি। তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার পরেই সেলিমের লুঠ হওয়া মোবাইলে একটি সিম ভরা হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আরশাদের সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্র পান তদন্তকারীরা। তাকে গ্রেফতার করার পরেই বাকিদের খোঁজ মিলেছিল। তখন থেকে অভিযুক্তদের পিছু ধাওয়া করছিল গোয়েন্দাদের একাধিক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy