Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

দরিদ্র শিশুদের বিশেষ ক্লাস নেবে কলকাতা

শহরের দরিদ্র পরিবারের এই শিশুদের খুঁজে বার করে নিখরচায় পড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগী হলেন সংসদের সদস্যেরা। প্রয়োজনে তাদের অভিভাবকদেরও সাক্ষর করার দায়িত্ব নেবে সংসদ। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী জানান, উপাচার্য আশুতোষ ঘোষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৭ ০১:৪৩
Share: Save:

স্কুলে পিছনের বেঞ্চে বসে শিক্ষকের দিকে নির্বাক তাকিয়ে থাকে তারা। অনেক সময়ে পড়া বুঝতে পারে না। বাড়িতেও পড়াশোনার পরিবেশ পায় না। অনেকের আবার স্কুলে যাওয়ারই সুযোগ হয়নি। এমন সব শিশুদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ।

শহরের দরিদ্র পরিবারের এই শিশুদের খুঁজে বার করে নিখরচায় পড়ানোর বিষয়ে উদ্যোগী হলেন সংসদের সদস্যেরা। প্রয়োজনে তাদের অভিভাবকদেরও সাক্ষর করার দায়িত্ব নেবে সংসদ। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক লগ্নজিতা চক্রবর্তী জানান, উপাচার্য আশুতোষ ঘোষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসেই এই ক্লাস নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ হওয়ার পরে কয়েকটি ঘরে এই ক্লাস হবে। পড়াশোনার সরঞ্জাম না থাকলে, তা সংসদের তরফে দেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের নিয়ে কয়েকটি দল গঠন করা হবে। বিশেষ ক্লাসের পড়ুয়াদের ছোট ছোট দলে ভাগ করে দেওয়া হবে। লগ্নজিতা জানান, কোন দলে ক’জন থাকবে তা সংসদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক হবে।

এই শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা দারিদ্র্য। এদের পক্ষে গৃহশিক্ষক রাখা সম্ভব নয়। স্কুলে যায়নি এমন শিশুদেরও স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে খবর ছাত্র সংসদের।

কলকাতার সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে খবর, শহরে তাদের ২৫টি আবাসিক স্কুল করা হয়েছে। সেখানে পথশিশুদের পড়়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে যে সব শিশুরা রয়ে গিয়েছে, তাদের এই বিশেষ ক্লাসে নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে। তাদের অভিভাবকদেরও শিক্ষিত করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করে ছাত্র সংসদ। তাই অভিভাবকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। লগ্নজিতা বলেন, ‘‘শিশু এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক ভাবে শিক্ষিত করতে এই উদ্যোগ।’’

উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই চেষ্টা সার্থক হবেই।’’ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শহরের বহু স্কুলের শিক্ষকেরা। অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটির রাজ্য সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, ‘‘আশা করি, এই পড়ুয়াদের অনুসরণ করে গোটা সমাজ শিক্ষাপ্রসারের জন্য এগিয়ে আসবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE