নায্য মূল্যে শহরে সব্জি বিক্রির জন্য ভ্যান রিকশার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সোমবার নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ শহরের বাজারগুলিতে সব্জির দর নিয়ন্ত্রণ করা যে এখনই সম্ভব হচ্ছে না, ভ্যান রিকশার সংখ্যা বাড়ানোতেই তা মালুম হয়েছে। সোমবারই আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, মাত্র কয়েকটি ওয়ার্ডে সাইকেল ভ্যানে সব্জি বিক্রির এই ব্যবস্থা চালু হওয়ায় অধিকাংশ শহরবাসী তার সুফল পাচ্ছেন না।
শহরের অধিকাংশ মানুষ যাতে ওই সব্জি কেনার সুযোগ পান, ভ্যান রিকশার সংখ্যা বাড়ানো তারই চেষ্টা বলে জানান নবান্নের এক অফিসার। তবে ওই রিকশা ভ্যান এলাকার কোন কোন জায়গায় ঘুরবে, তা নিয়ে এখনই কোনও প্রচার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও পুরসভার মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ জানান, বর্তমানে শহরের ১২টি ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় পুরসভার ২৩টি সব্জিবাহী ভ্যান ঘুরছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও ৫০টি ভ্যান দেওয়া হবে। কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ডেই ভ্যান নিয়ে সব্জি বিক্রির এই ব্যবস্থা চালু করতে চায় পুরসভা। তারকবাবু জানান, সব কাউন্সিলরকেই চিঠি দিয়ে জানানো হবে। যাঁরা এলাকায় সব্জি বিক্রির ব্যবস্থা নিতে চান, তাঁদের কাছেও ভ্যান পাঠানো হবে।
সম্প্রতি শহরে বিভিন্ন বাজারে সব্জির দর ক্রমাগত বাড়তে থাকায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রিকশা ভ্যানে সব্জি বিক্রি শুরু হয়েছে। তাতে অবশ্য বাজারগুলিতে দামের কোনও হেরফের হয়নি। পটল, ঝিঙে, লঙ্কা, কুমড়ো, উচ্ছে, বেগুন-সহ একাধিক সব্জির দর পুরসভার ভ্যানের দরের থেকে দ্বিগুণ। তবু তা কিনছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে হাতিবাগানের বাসিন্দা মহামায়া দাসের প্রশ্ন, “ওই ভ্যান কোথায়, কখন আসবে তা জানব কী করে? সব্জির জন্য বসে থেকে দেখা গেল হয়তো ভ্যানই এল না। তখন তো রান্নাই হবে না।”
সেই আশঙ্কায় ভুগছে পুর-প্রশাসনও। এক অফিসারের কথায়, “একটা ভ্যানে আর কত সব্জি ধরে! চাহিদা মতো দেওয়ার পরিকাঠামো নেই বলে আপাতত অল্প করেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” পরে পুর-বাজারগুলিতে একটা নির্দিষ্ট দোকানে ন্যায্য মূল্যে সব্জি বিক্রি করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy