বিক্ষোভের মাঝে আরপিএফ-এর জওয়ান। শুক্রবার। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহের প্রথম চার দিন মেট্রো আটকে গিয়েছিল লাইনে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায়। শুক্রবার সকালে ব্যস্ত সময়ে দমদমগামী একটি বাতানুকূল মেট্রো ছাড়ার পর থেকেই যান্ত্রিক ত্রুটিতে বারবার থমকে যাচ্ছিল। ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল তিতিবিরক্ত যাত্রীদের। রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে তুলকালাম ঘটালেন তাঁরা। চলল বিক্ষোভ, এমনকী রেলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানকে মারধরও।
কী ঘটেছিল রবীন্দ্র সদনে? এমনিতেই মাঝপথে একাধিক বার ট্রেন আটকে যাওয়ায় যাত্রীরা ক্ষেপে ছিলেন। কোনও রকমে রবীন্দ্র সদনে পৌঁছে এক বার মাইকে ট্রেন খালি দেওয়ার জন্য ঘোষণা করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যাত্রীরা নামতে না নামতেই আচমকা ছেড়ে দেয় ট্রেন। এর পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকশো যাত্রী মোটরম্যানের দিকে তেড়ে যান। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসে আরপিএফের দল। অভিযোগ, তা দেখে যাত্রীদের একাংশ প্ল্যাটফর্মে রেলরক্ষী বাহিনীর এক জওয়ানকে তাড়া করে মারধর শুরু করেন। অনেকে স্টেশন মাস্টারের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। প্রায় ২৫ মিনিট চলে গোলমাল। পরে মেট্রো কর্মীরাই এসে অবস্থা সামলান। এর জেরে প্রায় এক ঘণ্টা বিঘ্ন ঘটে মেট্রো চলাচলে।
যাত্রীদের বক্তব্য, কবি সুভাষ থেকে মেট্রোটি ছাড়ার পরেই গোলমাল ধরা পড়ে। রবীন্দ্র সদনে পৌঁছনোর পরে দরজা খোলাই যাচ্ছিল না। বহু চেষ্টার পরে দরজা খুলতে সক্ষম হন মোটরম্যান। তার পরেই শুরু হয় গোলমাল।
কী বলছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ? কবি সুভাষ থেকে ছাড়ার পরেই মোটরম্যান কন্ট্রোলে জানান, অত্যধিক ভিড়ে দরজা বন্ধ করা যাচ্ছে না। ক্ষুদিরাম স্টেশনে ট্রেন থেকে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। ফলে ওই ঠাসা ভিড় নিয়েই চলতে শুরু করে মেট্রো। অতিরিক্ত ভিড়ে বাতানুকূল ব্যবস্থাও কাজ করছিল না। ওই অবস্থাতেই কোনও মতে মেট্রোটি রবীন্দ্র সদনে পৌঁছয়।
মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ব্যস্ত সময়ে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামতে না চাওয়ায় মোটরম্যানের কিছু করার ছিল না। রবীন্দ্র সদনে অবশেষে যাত্রীরা নেমে যাওয়ায় খালি ট্রেনটিকে নোয়াপাড়া কারশেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আরপিএফ জওয়ানকে মারধর করার অভিযোগে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy