প্রতীকী ছবি।
পুলিশের আশ্বাসটুকুই সার। দু’দিন আগে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে সোমবার ফের দফায় দফায় পাড়ার কিশোরীদের কয়েক জনকে হুমকি, মারের অভিযোগ উঠল।
রাজাবাজারের ওই মেয়েদের ‘অপরাধ’, পাড়ার দিদিদের ক’জনের গড়া নারী-অধিকার মঞ্চ ‘রোশনি’-র ডাকে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল তারা। হুমকি ও মারধরের অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাদের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙা থানার পুলিশকে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়েছেন। সম্প্রতি পুলিশি হস্তক্ষেপে পাড়ায় এক নাবালিকার বিয়ে ভেস্তে যাওয়ার পর থেকেই রাজাবাজারে মেয়েদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এক সংগঠনের কর্মী সাহিনা জাভেদ, তাহসিনা বানোদের উপরে হামলা হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশে জানানো হলেও এখনও পদক্ষেপ করেনি তারা। উল্টে সাহিনা-তাহসিনাদের দ্বারা উদ্বুদ্ধ কিশোরীদের বাড়ি গিয়ে হুমকি ও মারধর শুরু হয়েছে।
রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের কাছে পেশ করা অভিযোগে সাহিনা জানিয়েছেন, কানিস ফাতেমা নামে ১৫ বছরের এক কিশোরীর বাড়িতে সম্প্রতি চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। কানিস এ দিন জানায়, পাড়ার কয়েক জন লোক এসে তাকে অকথ্য গালিগালাজ করে এবং চড়-থাপ্পড় মারে। একই কথা জানিয়েছেন কানিসের মা মুসরাত জহানও। সাহিনাদের ক্লাবে পাড়ার মেয়েরা রোজ সন্ধ্যায় নিজের পায়ে দাঁড়ানো, মাথা উঁচু করে বাঁচার কথা শোনে। সাহিনারা পাড়ায় বাল্যবিবাহ বা মেয়েদের উপরে গৃহ-হিংসার বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলারও কাজ করছেন। মেয়েদের ক্ষমতায়নের অঙ্গ হিসেবে তাদের ফুটবল খেলা, গাড়ি চালানো শেখানো হচ্ছে। এ সবের জেরেই যত বিপত্তি।
কানিসের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা জানতে পেরে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের তরফে অনন্যাদেবী বলেন, ‘‘ছোট মেয়েদের উপরে হামলা চললে আমরাও বসে থাকব না।’’ ছোটদের মারধর বা অকথ্য গালিগালাজ পকসো আইনের আওতায় পড়ে। তিন দিনের মধ্যে দোষীদের ধরতে হবে বলে পুলিশকে নোটিস দেওয়ার কথাও এ দিন জানিয়েছেন অনন্যাদেবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy