প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি না লিখে মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকেরা ‘মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর’ লিখতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল গত বছরই। বুধবার বাঘা যতীনে নিমন্ত্রণ খেতে আসা ইছাপুরের যুবক বিশ্বজিৎ দাসের ডেথ সার্টিফিকেটের বয়ান দেখে আবার সেই অভিযোগই তুললেন বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার পুর অধিবেশনে বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, আন্ত্রিকেই বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। তখন মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে বলেন, ‘‘আমরা বিশেষজ্ঞ নই। চিকিৎসক লিখেছেন, মৃত্যুর কারণ মাল্টি সিস্টেম ফেলিওর।’’
বিশ্বজিতের মৃত্যু আন্ত্রিকেই হয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ করেন আত্মীয়েরা। এ দিন অধিবেশনে ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্কর একই অভিযোগ তুলে জানান, যমজ ছেলের বাবা বিশ্বজিৎবাবুর আয়েই সংসার চলত। তাঁর দাবি, মৃতের পরিবারের কাউকে চাকরি দিতে হবে।
সিপিএমের রত্না রায়মজুমদার বলেন, ‘‘বিশ্বজিৎবাবুর বমি-পায়খানা হচ্ছিল বলেই তো তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ইঞ্জেকশন দিতে হয়েছিল। এটা পুরসভা অস্বীকার করবে কী করে?’’
গত বছর ডেঙ্গিতে ডেথ সার্টিফিকেটে যে ভাবে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর লেখা হত, সেই প্রসঙ্গও তোলেন বিরোধী কাউন্সিলরদের কেউ কেউ। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর আসল কারণ লেখা আছে। এর পরেও কেউ যদি রাজনীতি করার জন্য সেই সত্য অস্বীকার করে, আমাদের কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy