যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির কাজ আটকে দিল বিধাননগর পুরসভা। অভিযোগ হয়েছে থানায়, গ্রেফতার হয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থার এক জন। তাঁর নাম এ কে ঘোষ। ঘটনার আঁচ পৌঁছয় পুরসভায় কাউন্সিলরদের বৈঠকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়র-সহ পুর প্রশাসনের সঙ্গে এক কাউন্সিলরের দ্বন্দ্বে সরগরম রইল বিধাননগর পুরসভা।
বৃহস্পতিবার সল্টলেকের ৩ নম্বর আইল্যান্ডের কাছে একটি বাসস্টপে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির কাজকে বেআইনি বলে চিহ্নিত করে তা আটকে দেয় পুরসভা। দাবি, ওই কাজের অনুমোদন দেয়নি পুরসভা।
তবে কী ভাবে কাজ হচ্ছিল? ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। যদিও তিনি বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নাম জড়ানো হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পুরসভা থেকে একটি সংস্থাকে আমার কাছে পাঠানো হয়েছিল। তারা যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির জায়গা দেখাতে বলে। আমি জায়গা দেখিয়েছি মাত্র। এর বাইরে আমার ভূমিকা নেই।’’ তবে মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘‘কোনও টেন্ডারই যেখানে হয়নি, সেখানে অনুমতির প্রশ্ন ওঠে না। পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কয়েক জন কর্মীকে বিধাননগর উত্তর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে গ্রেফতার করা হয় এক জনকে। পুলিশকর্তা জানান, বৈধ অনুমতি না দেখাতে পারলে নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। সংস্থার তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অনিন্দ্যবাবুর অভিযোগ, ‘‘৭টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য পুরসভার কাছে আবেদন করেছি। দু’টি জায়গায় তৈরি হয়েছে। যে সংস্থাকে বাধা দেওয়া হল, তারাই আগে কাজ করেছে। ’’
ঘটনার রেশ পৌঁছয় পুরসভার কাউন্সিলরদের বৈঠকেও। পুরসভা সূত্রে খবর, বৈঠকে চিৎকার জুড়ে দেন অনিন্দ্যবাবু। তাঁর অভিযোগ, একাধিক ওয়ার্ডে টেন্ডার ছাড়া কাজ হয়েছে। কিন্তু পদক্ষেপ করেনি পুরসভা। কেন তাঁর ওয়ার্ডেই এত সক্রিয়তা? যদিও পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রে টেন্ডার ছাড়া জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হয়। তবে এমন কোনও অভিযোগ এখনও পাইনি।’’
সব্যসাচীবাবু বলেন, ‘‘টেন্ডার ছাড়া কাজের অভিযোগ থাকলে কাউন্সিলর লিখিত ভাবে জমা করুন। নিশ্চিত ভাবে পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া কাজ করতে দেওয়া হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy