প্রতীকী ছবি।
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করতে এ বার কাউন্সিলরকেও ঘরে ঘরে ঘুরতে হবে।
জানুয়ারি থেকে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মশাদমনকারী দলের সঙ্গে সপ্তাহে দু’দিন করে থাকবেন স্থানীয় কাউন্সিলরেরা। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমাতে আগামী বছর থেকে তেমনই কর্মসূচি নিতে চায় পুরবোর্ড। পুরকর্তাদের ধারণা, কাউন্সিলরেরা প্রতি বাড়ি ঘুরে বাসিন্দাদের সচেতন করলে তাতেই অনেকখানি কাজ হবে। এই কাজ শুরু হবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে।
শনিবার পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানান, এ বছর শহরের কিছু ওয়ার্ডে ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের বংশবৃদ্ধিতে আতঙ্ক বেড়েছে শহরে। কলকাতা লাগোয়া পুর এলাকায় তার প্রকোপ বেশি ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘শীত পড়ায়, মশার উপদ্রব কমেছে। তবে এই নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই।’’ তিনি জানান, আগামী বছর মানুষকে আরও সতর্ক করার জন্য ইতিমধ্যেই পুরসভা নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তার একটি, ওয়ার্ডের রোড-ম্যাপ তৈরি করে প্রতিটি বাড়িতে ঘুরবে পুরসভার মশাদমনের দল। সেই অভিযানে কাউন্সিলরকে থাকার অনুরোধ করা হবে।
আগামী ২০ জানুয়ারি পুরভবন থেকে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে পদযাত্রা বার হবে। মন্ত্রী, মেয়র, সাংসদ থেকে বিধায়ক, চিত্রতারকা-সহ অনেকেই সামিল হবেন সেই পদযাত্রায়। ওই দিন কলকাতায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে একটি করে পদযাত্রা বার হবে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে জল জমানোর প্রবণতা না কমালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ কমানো অসম্ভব। তাই মশা দমনের কাজকে আরও বেশি করে অগ্রাধিকার দিতে চায় পুরপ্রশাসন। আগামী বছর কী ভাবে তা করা যায়, তা নিয়ে দিন কয়েক আগে বৈঠক হয়েছে পুর স্বাস্থ্য দফতরে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওয়ার্ডগুলিতে প্রত্যেক দিন রোড-ম্যাপ বানিয়ে ঘোরে পুরসভার র্যাপিড অ্যাকশন টিম। এ বার সপ্তাহে দু’দিন ওই দলের সঙ্গে ঘুরতে বলা হবে স্থানীয় কাউন্সিলরকে। এই মর্মে কাউন্সিলরদের চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। কাউন্সিলরেরাও রোড ম্যাপ ধরেই ঘুরবেন। ব্লিচিং পাউডার এবং খোলা জায়গায় ধোঁয়া দিয়ে মশা মারা যায় না— লিফলেট বিলি করে এই প্রচারও করা হবে।
এক পুরকর্তার কথায়, ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের একটা ‘দাপট’ আছে। মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে তা কাজে লাগবে। পুরকর্মীরা বাসিন্দাদের সচেতন করেন ঠিকই, তবে তাতে অনেকেই আমল দেন না। কিন্তু কাউন্সিলরেরা এক বার অনুরোধ করলে, তাতে ভাল সাড়া মেলে। ২০ জানুয়ারির পর থেকে সেই কাজ শুরু করবে পুর প্রশাসন। তার পর চার মাস ধরে সচেতনতার ওই অভিযান চালিয়ে যাবে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর বলে এ দিন জানান মেয়র পারিষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy