কথা ছিল চলতি বছরের মাঝামাঝি শেষ হয়ে যাবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। কিন্তু মাটির নীচের কিছু জটিলতার কারণে কাজের অগ্রগতিতে ব্যাঘাত ঘটেছে বলেই দাবি নির্মাণকারীদের। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ শেষ করতেই হবে বলে নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
স্কাইওয়াক প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সর্ম্পকে বৈঠক করতে শনিবার বিকেলে দক্ষিণেশ্বরে আসেন পুরমন্ত্রী। মন্দিরের কুঠি বাড়িতে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়, মহকুমা শাসক পীযূষ গোস্বামী, কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ( জোন ২) ধ্রুবজ্যোতি দে, দক্ষিণেশ্বর মন্দির অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরী-সহ কেএমডিএ ও নির্মাণকারী সংস্থার কর্তারা। পরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মাটির নীচে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাই কাজে দেরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে নির্দেশ দিয়েছি এই বছরের শেষের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করতে।’’ তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরের প্রথমে কল্পতরু উৎসবের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করানোর। যাতে নতুন বছর থেকেই দর্শনার্থীরা স্কাইওয়াক ব্যবহার করতে পারেন।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই স্কাইওয়াক তৈরির কাজ। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে সুরু করে মন্দিরের সিংহদুয়ারের আগে পর্যন্ত যাবে এই স্কাইওয়াক। কাজ শুরুর সময়ে মন্দিরের মূল রাস্তার দু’ধারের দোকানদারদের অন্যত্র সরানো নিয়েও যথেষ্ট সমস্যায় পরতে হয়েছিল বলেও দাবি রাজ্য প্রশাসনের।
অনেক টালবাহানার পরে দোকানদারদের বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরিত করেই শুরু হয় কাজ। প্রথমেই মাটির নীচের পাইলিং-সহ অন্যান্য কাজ করা হয়। আর তাতেই কিছু সমস্যা দেখা দেয়।
পুরমন্ত্রী ও প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থার আধিকারিকেরা জানান, মাটির নীচে জলের পাইপলাইন, বিদ্যুতের তার, কেবল লাইন-সহ নাগরিক পরিষেবার বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। সেগুলিকে বাঁচিয়ে কাজ করতে গিয়েই বেশ কিছুটা সময় লেগেছে। তবে প্রকল্প নির্মাণকারী সংস্থার এক র্কতা বলেন, ‘‘মাটির নীচে পাইলিং-সহ অনান্য কাজ প্রায় শেষের পথে। দিন কয়েকের মধ্যে তা-ও শেষ হয়ে যাবে। এর পরেই মাটির উপরের কাঠামোর কাজ শুরু হবে।’’
তাঁর দাবি, মাটির উপরের কাঠামোগত কাজ শেষ করতে বেশি দিন লাগবে না। পুরমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাবে। কুশলবাবু বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে কিছুটা সময় তো লাগবেই। তবে বর্ষায় কাজের অগ্রগতিতে বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু পুরমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বর্ষার সময়েও যেন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই কাজ চালু রাখা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy