ভেঙে পড়া বাড়ির অংশ।— নিজস্ব চিত্র।
দেওয়ালে অসংখ্য ফাটল, একাংশ ভেঙে পড়েছে, ঝুঁকে পড়েছে একটা দিক— এ রকম বাড়িকে বিপজ্জনক বলে তার গায়ে নোটিসও ঝুলিয়ে দিয়েছিল পুরসভা। কিন্তু, সব কিছু জেনেও ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা সেখানে আছেন, তাঁদের ওঠাতে পারেনি পুরসভা। মঙ্গলবার এমনই এক বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের।
এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বড়বাজারের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর শিবতলা লেনের ঢাকা পট্টি এলাকায়। বাড়ি ভাঙার খবর পাওয়ার পরই দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করে দমকল ও পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন পুরসভা কর্তারাও।
আরও পড়ুন: ইমার্জেন্সির পথ আটকে বিক্ষোভ
ঘটনায় আটকে পড়াদের উদ্ধার করা করা। আহতদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ৯০ বছরের তারাপ্রসন্ন সাহাকে। গুরুতর আহত হন স্ত্রী ৭০ বছরের শোভারাণী সাহা এবং মেয়ে ৫২ বছরের বিউটি রায়। পরে হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সঞ্চিতার মৃত্যুতে বহু প্রশ্ন, এখনও অন্ধকারে পুলিশ
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, পোস্তা থানার অধীন শিবতলা লেনের চারতলা বাড়িটিতে আগেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল। নতুন বাড়ি তৈরির জন্য ছাড়পত্রও দেওয়া হয়। কিন্তু, নতুন বাড়ি তৈরির হওয়ার আগেই এই দুর্ঘটনা। বাড়িটির দোতলা এবং তিনতলা ভেঙে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার পরই কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুঃখজনক ঘটনা। সমস্যাটা দীর্ঘ দিনের। আমরা সমাধানের চেষ্টা করছি। কিন্তু, সাধারণ মানুষ সাহায্য না করলে মেটানো সম্ভব নয়।’’ মেয়রের দাবি, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ঠিক মতো সাহায্য না পাওয়ার কারণেই সমস্যা থেকে যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy