Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

জমছে জল, আশঙ্কা ডেঙ্গির

টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর পাশেই রয়েছে একটি আবাসন। সেখানে ১৫০-এরও বেশি পরিবারের বাস। অন্য পাশে ইন্দ্রপুরী স্টুডিও। এ রকম একটি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে জেএনএনইউআরএম-এর প্রায় ২০টি বাস অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

অবহেলা: টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর একাংশের এমনই অবস্থা। নিজস্ব চিত্র

অবহেলা: টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর একাংশের এমনই অবস্থা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০৮:০০
Share: Save:

মাসের পরে মাস বাসগুলি পড়ে আছে। কোনওটির চেয়ার ভাঙা। কোনওটির ছাদ দুমড়ে গিয়েছে। বাসগুলির ভিতরে জমে আছে বৃষ্টির জলও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এর জন্যই মশার উপদ্রব বেড়েছে। তা ছাড়া আগাছায় ভরে রয়েছে গোটা এলাকা। ক্রমশ বাড়ছে আবর্জনা। একাংশ কার্যত জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ডেঙ্গির আতঙ্কে তাই পরিবহণ দফতর এবং কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু তার পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। এই ছবি টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর একাংশের। ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। আশঙ্কায় কলকাতা পুরসভাও।

টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর পাশেই রয়েছে একটি আবাসন। সেখানে ১৫০-এরও বেশি পরিবারের বাস। অন্য পাশে ইন্দ্রপুরী স্টুডিও। এ রকম একটি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে জেএনএনইউআরএম-এর প্রায় ২০টি বাস অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আবাসনের বাসিন্দা অনুপ ডালমিয়া বলেন, ‘‘এত মশা যে জানলা খোলা যায় না। আতঙ্কে রয়েছি।’’

পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, মালিকদের ঋণে এই বাসগুলি চালানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল। সেই ঋণ ঠিক সময়ে না মেটাতে পারায় সরকার বাসগুলি ফেরত নিয়ে নেয়। সেগুলিই দীর্ঘ দিন পড়ে আছে।

কলকাতা পুরসভার কাছে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকাটি পুরসভার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অর্চনা সেনগুপ্ত। তিনি জানান, ভাঙা বাসে জমে থাকা জলে মশা জন্মাতে পারে। তাই ডেঙ্গির আশঙ্কাও থাকে। পুর কর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে অর্চনাদেবীর কথা হয়েছে।

কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর সমস্যাটি আমাদের তালিকায় রয়েছে। ইতিমধ্যে পরিবহণ দফতরকে এ বিষয়ে জানানোও হয়েছে। ফের পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে যাতে বাসগুলিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর জন্য ডেঙ্গির আশঙ্কা থাকে।’’ তিনি জানান, কয়েক দিন অন্তর পুরসভার একটি দল ওই এলাকা পরিদর্শনে যায়। এখনও মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।

যদিও পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘দ্রুত জায়গাটি পরিষ্কার করা হবে। বাসগুলি কোথায় সরানো যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE