প্রতীকী ছবি।
ফের নিম্নচাপ শুরু হতেই চিন্তা বাড়ল পুর প্রশাসনের। বুধবার পুরসভার অধিবেশনে ডেঙ্গিবাহী মশার লার্ভা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ শাসক এবং বিরোধী দলের কাউন্সিলরদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানান। জমা জল থেকে শহরে মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে এমনিতেই নাজেহাল পুর প্রশাসন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে পুর প্রশাসন। তার মধ্যেই শীত প্রায় দোরগোড়ায় চলে আসায় কিছুটা হাঁফ ছাড়ার সময় পেয়েছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। কিন্তু বুধবার ভোর থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে ফের বেড়েছে জল জমার প্রবণতা। আশঙ্কা, জমা জল থেকে মশার বংশবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হলে আবার বিপদ বাড়বে। সেই আশঙ্কার কথা জানিয়ে অতীনবাবু অধিবেশনে হাজির সকল কাউন্সিলরকে বলেন, নিজের ওয়ার্ডে কোথাও জল জমতে দেবেন না। এলাকায় পুরকর্মীদের মশা প্রতিরোধের এবং মশা নিধনের কাজে লাগান।
নির্মীয়মাণ বহুতলের চৌবাচ্চায় মশার লার্ভা বাড়ছে, এ নিয়ে পুর প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না— প্রশ্ন করেন পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য। সেই প্রশ্নের জবাবে অতীনবাবু জানান, শুধু বহুতলের চৌবাচ্চাই নয়, বেআইনি নির্মাণ, ফাঁকা জমি সব জায়গাতেই জল, জঞ্জাল জমানোর প্রবণতা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চায় পুর প্রশাসন। বিষয়টি রাজ্য সরকারের নজরেও আনা হচ্ছে। সরকারের নির্দেশ এলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরেই অধিবেশনে অতীনবাবু জানান, বৃষ্টিতে জল জমবে ঠিকই, তবে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির নীচে থাকলে মশার দাপট কমবে। সেটাই ভরসা। তা না হলে ফের মশার বংশবৃদ্ধি হতে পারে। সে কারণেই কাউন্সিলরদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র পারিষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy