দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণী।— নিজস্ব চিত্র।
কথিত, তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দর হাত ধরে বাংলায় এসেছিলেন কালী। কৃষ্ণানন্দের আগে বাংলায় কালীপুজো হত ঘটে, যন্ত্রে কিংবা শিলাখণ্ডে। মূর্তিতে কালীপুজোর প্রচলন তখনও হয়নি। বাড়িতে নয়, পুজো হত শ্মশানে, নদীতীরে বা গভীর অরণ্যে। কৃষ্ণানন্দের প্রভাবে সেই শ্মশানবাসিনী কালী হয়ে উঠলেন বাঙালির শ্যামা। যে কালীপুজো এক সময়ে গৃহে ছিল নিষিদ্ধ, কৃষ্ণানন্দের হাত ধরেই সেই দেবী প্রবেশ করলেন বাংলার ঘরে ঘরে।
এ ছাড়াও কলকাতায় রয়েছে বেশ কিছু কালীমন্দির। যেখানে নিত্য আরাধনার পাশাপাশি এই বিশেষ দিনেও ধূমধাম করে পুজোর আয়োজন হয়। ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির। মা ভবতারিণীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি। মন্দিরের খ্যাতিলাভের পিছনে মুখ্য ভূমিকা ছিল শ্রীরামকৃষ্ণের। সেই আমল থেকে আজও একই ভাবে পুজো হয় দক্ষিণেশ্বরে।
আরও পড়ুন, রুক্মিণী, পরাণ, ভুতু ও সায়নীর দীপাবলির মেসেজ
ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি স্থাপিত হয় ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে। ভিন্ন মতে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে। শঙ্কর ঘোষের প্রতিষ্ঠা করা এই মন্দিরে কালীপুজো হয় নিয়ম মেনেই। ৫০০ বছরের পুরনো মন্দির ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি। মা সিদ্ধেশ্বরীর বিগ্রহে পুজো হয় এখানে।
আরও পড়ুন, দীপাবলির বার্তা দিলেন কৌশিক-অঙ্কিতা-মৌলি
কলকাতার প্রাচীনতম মন্দিরগুলির মধ্যে কালীঘাট মন্দির অন্যতম। ৫১ শক্তিপীঠের একটি এই মন্দিরে বিগ্রহ মা দাক্ষায়নীর। কালীপুজোর দিন ছাড়াও বছরভর পুণ্যার্থীদের ভিড় থাকে এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy