সন্ধান: মশার আঁতুড়ের খোঁজে উড়ছে ড্রোন-ক্যামেরা। বৃহস্পতিবার, যাদবপুরের কাছে বিক্রমগড় এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
শহরের বহুতলে মশার আঁতুড়ঘর নিয়ে চিন্তা ছিলই পুর প্রশাসনের। কিন্তু তার হদিস না মেলায় মশা নিধনের কাজে সমস্যা আরও বাড়ছিল। এ বার ড্রোন ক্যামেরা চালিয়ে পরীক্ষা মূলক ভাবে উঁচু বিল্ডিংয়ের উপরে বা আশপাশে জমা জলের সঙ্গে জঞ্জাল কোথায় জমে রয়েছে, তার খোঁজ শুরু করল পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার ১০ নম্বর বোরো এলাকার বিক্রমগড়ে ড্রোন চালানো হয়।
পুরসভা সূত্রের খবর, পরীক্ষামূলক অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার অনেক জায়গায় মশার আঁতুড়ঘরের সঙ্গে জঞ্জাল, ঝোপঝাড় ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ এ দিন জানান, বহুতল এবং নির্মীয়মাণ বাড়িতে জমা জলে মশার দ্রুত বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। এ নিয়ে নানা ভাবে শহরবাসীকে সজাগ করাও হচ্ছে। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বহুতল আবাসনের উপরে পুরকর্মীরা পৌঁছতে পারছেন না। কোথাও চাবি নেই, তো কোথাও অসহযোগিতা। তাই ড্রোন ক্যামেরার ভাবনা নেওয়া হয়। তিনি জানান, এ দিন পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে একটি বেসরকারি সংস্থা ড্রোন নিয়ে পুরকর্মীদের সঙ্গে ছিল। সাউথ সিটি মল থেকে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি বিল্ডিংযে নজর ফেলা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে পুরসভার আশঙ্কাই ঠিক।
ওই সব আবাসনের কর্তৃপক্ষ এবং বাসিন্দাদের সতর্ক করা হবে। জমা জলের উৎস ধ্বংস করতে পুরকর্মীরাও যাবেন। পুরসভা সূত্রের খবর, এ বার থেকে শহরের বহুতল আবাসন-সহ হোটেল, হসপিটাল, সর্বত্রই এই ড্রোন-ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে মশার বংশ নিধনের কাজই যে আসল, তা ফের লিফলেট ফেস্টুন লাগিয়ে শহরবাসীদের জানাতে চায় পুরসভা। তেমন একটি লিফলেট প্রকাশ করে পুরসভা লিখেছে ব্লিচিং নয়, মশার ধোঁয়াও নয়। মশার বংশ ধ্বংস করলে তবেই ডেঙ্গি রোধ সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy