‘রচনা’কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেল ‘প্রেরণা’।
হাওড়া ময়দান থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পূর্ব ও পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খনন শুরুর সময়ে দু’টি টানেল বোরিং মেশিনের (টিবিএম) পৃথক নামকরণ করেছিলেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ খননে নিযুক্ত টিবিএমের নাম রাখা হয়েছিল রচনা এবং পশ্চিমমুখীর নাম প্রেরণা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে খবর, ২০১৬-র এপ্রিল নাগাদ কাজ শুরু করে রচনা। তার মাস তিনেক পরে শুরু হয় প্রেরণার পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ খননের কাজ। কিন্তু পরে দৌড় শুরু করেও আগে এসপ্ল্যানেড পৌঁছতে চলেছে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ। আজ, বৃহস্পতিবার মাটির প্রায় ৩০ মিটার নীচে নির্মীয়মাণ এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের দেওয়াল ছোঁয়ার কথা তার।
অথচ গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়েও আগে পথ অতিক্রম করেছিল পূর্বমুখী সুড়ঙ্গই। মাস দুয়েক পরে নদী পেরোয় পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গটি। কিন্তু তার পরেও কী করে আগে এসপ্ল্যানেড পৌঁছচ্ছে পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গটি।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের ব্যাখা, পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের আগে পৌঁছনো নিতান্তই কাকতালীয় বিষয়। তিনি আরও জানান, পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ নদী পেরোনোর পরে তার পথে অনেকগুলি ঐতিহ্যবাহী ভবন পড়েছিল। ব্রেবোর্ন রোড উড়ালপুল পেরোনোর পরে দু’টি সিনাগগ, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চ, এবং রাইটার্স বিল্ডিং পেরোনোর সময়ে অনেক বেশি সতর্কতা নিতে হয়েছে। ফলে কাজের গতি মন্থর হয়েছে। পরের দিকে ওল্ড কোর্ট হাউসের একাধিক জীর্ণ বাড়ির কারণেও গতি থমকেছে রচনার।
তবে, মেট্রো কর্তাদের দাবি, আর বাধা নেই। শেষ মুহূর্তে প্রেরণা এগিয়ে গেলেও দিন কয়েকের মধ্যেই পৌঁছে যাবে রচনাও। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ এখন পৌঁছেছে এসপ্ল্যানেড ম্যানসনের কাছাকাছি। পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ পৌঁছে গিয়েছে কার্জন পার্ক। আজ, বৃহস্পতিবার ওই সুড়ঙ্গের এসপ্ল্যানেড পৌঁছনোর মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। হাওড়া ময়দানে যেখান থেকে কাজ শুরু হয়েছিল সেখানে বড় স্ক্রিনে দেখানো হবে বিশেষ মুহূর্তের ছবি। কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার অজয়কুমার নন্দী বলেন, “প্রায় দু’বছর ধরে চলা সুড়ঙ্গ নির্মাণের এই পর্বের কাজ শেষ করতে পারাটা মাইলস্টোন ছোঁয়ার মতো।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy