হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী মহম্মদ আরজু। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
পুলিশ কমিশনার ‘সতর্কবার্তা’ দেওয়ার পরে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ফের গুলিচালনার অভিযোগ উঠল এন্টালি এলাকায়। বাড়ির নীচে অশান্তি থামাতে গিয়ে শনিবার মধ্যরাতে এন্টালির মতিঝিল লেনে দুষ্কৃতীর গুলিতে জখম হলেন মহম্মদ আরজু নামে এক ব্যবসায়ী। পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার আরজু বলেন, ‘‘মতিঝিল লেনে পরিবার নিয়ে থাকতে ভয় করছে।’’
সম্প্রতি প্রোমোটিং এবং এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে একাধিক বার গুলিচালনা, বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে এন্টালি এলাকায়। গত ১৯ ডিসেম্বর পটারি রোডে কয়েক জন দুষ্কৃতীর ছোড়া গুলিতে আহত হন ইন্দ্রজিৎ রায় ওরফে ছোটু নামে এক ব্যক্তি। লালবাজার সূত্রে খবর, গত ৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতা পুলিশের মাসিক ক্রাইম বৈঠকে এন্টালি থানার ওসিকে সতর্ক করেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। দুষ্কৃতীদের থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের উপরেও জোর দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু ক্রাইম বৈঠকে বার্তা বাস্তবে কতখানি ফলপ্রসূ হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠে গেল এই ঘটনায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ আরজুর বাড়ির সামনে মোবাইল নিয়ে এক জনের সঙ্গে বচসা হচ্ছিল মহম্মদ টিপু নামে এক ব্যক্তির। এ দিন আরজু বলেন, ‘‘সারাদিন খাটুনির পরে ঘুমোনোর সময়ে বাড়ির সামনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। থাকতে না পেরে নীচে নেমে বলি, সকলে ঘুমোচ্ছে। বাড়ির সামনে কেন চিৎকার করছ?’’ স্থানীয় এক বাসিন্দা মহম্মদ ইমরান জানান, বাড়ির সামনে থেকে সরে যেতে বললে টিপু হুমকি দিতে থাকে আরজুকে। ইমরান বলেন, ‘‘টিপু বলছিল, আরজু ওর মুখের উপরে কেন কথা বলবে।’’ টিপুর বিরুদ্ধে এর আগেও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আসলামের দাবি, আরজুর কথা শুনে টিপু প্রথমে চলে যায়। কিছু ক্ষণ পরে সে ফিরে আসে। তখনই আরজুকে ঘিরে থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের জটলা লক্ষ্য করে দু’টি বোমা ছোড়ে টিপু। তবে বোমাগুলি ফাটেনি। এর পরে টিপুকে তাড়া করেন আরজু। গলির মুখে আগ্নেয়াস্ত্র বার করে টিপু গুলি চালায় বলে অভিযোগ। আরজুর পেটের বাঁ দিকের অংশে গুলি ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। এ দিন শেখ পারভেজ নামে এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের ঘোরাফেরা ওই এলাকায় কোনও ব্যাপার নয়। কমবয়সী ছেলেরা সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy