Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

যৌন নির্যাতন? কী বলছে হাসপাতালের রিপোর্ট?

এ দিন দ্বিতীয় বারের জন্য মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল নানা ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিকেলে একটি রিপোর্ট দেয়।

ভয়ার্ত: এখনও মায়ের কোলেই সিঁটিয়ে। —নিজস্ব চিত্র।

ভয়ার্ত: এখনও মায়ের কোলেই সিঁটিয়ে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১৭
Share: Save:

জি ডি বিড়লা স্কুলের শিশুটির উপরে যৌন নির্যাতন হয়েছে কি না সে ব্যাপারে কোনও ‘মন্তব্য করা যাচ্ছে না’ বলে বুধবার রিপোর্ট দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন দ্বিতীয় বারের জন্য মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল নানা ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিকেলে একটি রিপোর্ট দেয়।

সরকারি ভাবে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার ভিত্তিতে পাঁচটি দিক উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে—

• শিশুটি উদ্বেগের শিকার, তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল।

• কোনও সক্রিয় রক্তক্ষরণের (অ্যাক্টিভ ব্লিডিং) চিহ্ন মেলেনি।

• শিশুটির যৌনাঙ্গের বাইরেও কোনও ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি, শুধু তার পিছন দিকে সামান্য আঁচড় ছাড়া।

• যোনিদ্বারের পর্দা ফাটেনি।

• শরীরের অন্য কোনও অংশেও কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।

এই অবস্থায় চিকিৎসকদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত, যে সামান্য আঁচড় দেখা গিয়েছে, তা থেকে শিশুটির উপরে যৌন নির্যাতন সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তবে ঘটনার ছ’দিন পরে চিহ্ন পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা, সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের ওই দলেরই কোনও কোনও সদস্য।

আরও পড়ুন: বিক্ষোভই দু’ভাগ, মাঝে রইল পুলিশ

শিশু নিগ্রহের অভিযোগটি সামনে আসে গত বৃহস্পতিবার রাতে। পরিবার সূত্রে খবর, ওই দিন বিকেলে শিশুটির বাবা-মা তাকে ফুলবাগানের একটি নার্সিংহোমে এক শিশুরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকেই তাঁরা এসএসকেএমে যান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিশুটিকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার সকালে শিশুটির প্রথম দফার শারীরিক পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষাতেও যৌন নির্যাতনের কোনও সরাসরি প্রমাণ মেলেনি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। তবে চিকিৎসকেরা তখন তাঁদের রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, শিশুটির শারীরিক কিছু অস্বস্তির জন্য তার সব রকম পরীক্ষা করা যায়নি— সে হাল্কা ব্যথার কথা জানিয়েছিল। সেই কারণেই এ দিন তার দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়।

ইতিমধ্যে পুলিশ শিশুটির বয়ানের ভিডিও রেকর্ডিং করেছে। সেই বয়ানে মেয়েটিকে মোবাইল স্ক্রিনে দুই অভিযুক্তের ছবি দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, এরা তার সঙ্গে কোনও রকম ‘খারাপ কাজ’ করেছে কি না। মেয়েটি এক জনের ছবি দেখে বলে, ‘‘এই স্যার আমার বড় প্যান্ট আর ছোট প্যান্ট খুলেছে।’’ অন্য জনের ছবি দেখালে শিশুটি জানায়, ‘‘এই স্যার হাত দিয়েছে।’’ অভিযুক্ত দুই পিটি শিক্ষককে পুলিশ শুক্রবারই গ্রেফতার করে।

শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ের শরীর আবার খারাপ হয়েছে। তাঁর দাবি, রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বুধবার রাতে তাঁরা মেয়েকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE