জি ডি বিড়লা-কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে শনাক্তকরণের প্রক্রিয়ায় (টি আই প্যারেড) শিশুটিকে তার বাবা প্রভাবিত করেছিলেন বলে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতে অভিযোগ করলেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার ওই আদালতে বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে জি ডি বি়ড়লা-মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই অভিযুক্ত মহম্মদ মফিজুর এবং অভিষেক রায়ের তরফে আইনজীবীরা ওই অভিযোগ করেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় টি আই প্যারেড হয়। তাতে ওই শিশুটি দুই অভিযুক্তকে শনাক্ত করে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
অভিযুক্তদের আইনজীবী জয়িষ্ণু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিশুটির বাবা মেয়ের দিকে ইশারা-ইঙ্গিত করে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছিলেন। সেই সময়ে শিশুটি বাবার কোলেই ছিল।’’ তবে অভিযুক্তদের আইনজীবীদের এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শিশুর বাবা। তিনি বলেন, ‘‘শনাক্তকরণের সময়ে এক জন বিচারক উপস্থিত ছিলেন। এটা অভিযুক্তদের আইনজীবীদের মাথায় রাখা উচিত।’’
এ বিষয়ে সরকারি আইনজীবী মাধবী ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথম দফার ভিডিও কনফারেন্সের সময়ে ছবিটা খুবই অস্পষ্ট আসছিল। তাই শিশুটি অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পারেনি। সেই কারণেই আর এক বার টি আই প্যারেডের আবেদন করা হয়। এ বার ছবির গুণমান ভাল ছিল। তাই শিশুটি সহজেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে। তা ছাড়া, শনাক্তকরণের সময়ে এক জন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন। সব কিছুই তাঁর নজরে ছিল।’’
এ দিন অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy