বইমেলা এ বার সল্টলেকে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে। সেই কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই যান চলাচল নিয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ প্রশাসন।
কয়েকটি ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম সল্টলেক এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি তালুকের অফিসযাত্রীদের যাতায়াত অক্ষুণ্ণ রাখা। এই বিষয়টি নিয়ে নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি আশঙ্কায় রয়েছেন সল্টলেকবাসীরাও। তবে বিধাননগর পুলিশ প্রশাসনের একাংশের দাবি, অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের আগেও যান চলাচল নিয়ে অনেকে নানা আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু সুষ্ঠু পরিকল্পনার জেরে বিশ্বকাপ চলাকালীন দর্শক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতে কোনও সমস্যাই হয়নি। একই ধাঁচে পরিকল্পনা করেই বইমেলার চ্যালেঞ্জ উতরোতে চাইছে বিধাননগর পুলিশ প্রশাসন।
এ বার বইমেলা হচ্ছে করুণাময়ী মোড়ের কাছে সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন স্থায়ী মেলা প্রাঙ্গণে। করুণাময়ী মোড় থেকে চারমুখী রাস্তা চলে গিয়েছে পাঁচ নম্বর সেক্টর, বিকাশ ভবন, ২০৬ বাসস্ট্যান্ড এবং বেলেঘাটা বাইপাসের দিকে। উল্টোডাঙা থেকে বাস, অটো কিংবা ট্যাক্সিতে লক্ষাধিক মানুষ সল্টলেকের অফিসপাড়া এবং করুণাময়ী মোড় হয়ে পাঁচ নম্বর সেক্টরে যান। বলা চলে অফিসপাড়ার প্রাণকেন্দ্র করুণাময়ী মোড়। ফলে রোজই অফিস যাওয়া ও ফেরার সময়ে ওই এলাকায় অত্যধিক চাপ থাকে। বইমেলায় হাজার হাজার বইপ্রেমীদের সমাগম ঘটবে। অফিস যাওয়ার সময়ে ততটা না হলেও অফিস থেকে ফেরার সময়ে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অফিসযাত্রীরা।
সল্টলেকবাসীদের একাংশের কথায়, বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই জায়গাটি সল্টলেকের এক প্রান্তে। ফলে মূল সল্টলেকে অফিসযাত্রীদের চলাচলে খুব সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। তার সঙ্গে পুলিশের সুষ্ঠু পরিকল্পনায় একেবারেই সমস্যা হয়নি।
বিধাননগর পুলিশের দাবি, যাতায়াতে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য বিবিধ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যেমন, বইমেলা ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিশেষ জোন। সেখানে ট্র্যাফিক চলাচল আগের মতোই থাকবে। শুধু গাড়ি থেকে ওঠা-নামা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, বইমেলার সামনের রাস্তাই অফিসযাত্রীদের মূল চলাচলের পথ। বইমেলার জন্য করুণাময়ীর সমান্তরাল রাস্তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাতে সেই সব পথ ধরে সল্টলেকের অফিসপাড়া এবং পাঁচ নম্বর সেক্টরে অফিসযাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করা যায়। সেই ভাবনায় পরিকাঠামো সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে।
বড় পার্কিং-এর জায়গার পাশাপাশি ছোট কয়েকটি এলাকাও পার্কিং-এর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। তা ছাড়া, বইমেলা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস মজুত রাখার জন্যও আলোচনা চলছে। করুণাময়ী মোড়ে ট্র্যাফিকের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব এবং বইমেলার বিশেষ বাসের জন্য কয়েকটি জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। বইমেলা জোনের ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারের মধ্যেই সেই সব ব্যবস্থা থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy