Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

দাদু ও প্রতিবন্ধী নাতির দেহ উদ্ধার

ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার গঙ্গাপুর এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম বীরেন দাস (৭৬)। তার নাতি অরিদীপ দাসের বয়স হয়েছিল ১৭। অরিদীপের মা-বাবা দু’জনেই চেন্নাইয়ে ঠিকা কাজ করেন।

খাটের উপরে এ ভাবেই পাওয়া যায় বৃদ্ধ বীরেন দাস এবং তাঁর নাতি অরিদীপের দেহ। শুক্রবার দত্তপুকুরে। নিজস্ব চিত্র

খাটের উপরে এ ভাবেই পাওয়া যায় বৃদ্ধ বীরেন দাস এবং তাঁর নাতি অরিদীপের দেহ। শুক্রবার দত্তপুকুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৮
Share: Save:

একই খাটে ঘুমোচ্ছিলেন দাদু আর নাতি। অসুস্থ দাদু তেমন নড়াচড়া করতে পারেন না। আর একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী নাতি খাট থেকে নামতেই পারে না। বুধবার দুপুরে, খাটে ঘুমন্ত অবস্থাতেই দাদু ও নাতির মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের শরীরে কোনও ক্ষত ছিল না, আশপাশে বিষাক্ত কিছুও মেলেনি। রহস্যজনক এই মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

ঘটনাটি দত্তপুকুর থানার গঙ্গাপুর এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম বীরেন দাস (৭৬)। তার নাতি অরিদীপ দাসের বয়স হয়েছিল ১৭। অরিদীপের মা-বাবা দু’জনেই চেন্নাইয়ে ঠিকা কাজ করেন। এলাকায় ফিরলে তারা দত্তপুকুরের ২ নম্বর এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। সম্পূর্ণ ভাবে মানসিক ও শারীরিক ভারসাম্যহীন অরিদীপ
তাই ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার কাছেই থাকত। মাঝে মধ্যে মা-বাবা এসে দেখা করে যেতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদু-নাতি অসুস্থ বলে দু’জনেই বরাবর দেরি করে ঘুম থেকে উঠতেন। বুধবার স্বামী আর নাতিকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই রেখে পাশের বাড়ি ঠিকা কাজ করতে যান যুথিকাদেবী। দুপুরে কাজ ও বাজার সেরে বাড়ি ফিরে দেখেন, দু’জনেই তখনও অচৈতন্য। এ দিন যুথিকাদেবী বলেন, ‘‘অনেক ডাকাডাকিতেও কেউই সাড়া দিচ্ছিল না। হাত দিয়ে দেখি, দু’জনের সারা শরীর ঠান্ডা, কাঠের মতো শক্ত।’’ এর পরেই ভয় পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন তিনি। প্রতিবেশীরাই খবর দেন দত্তপুকুর থানায়। পুলিশ পৌঁছে দু’জনকে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই দু’জনের। এর পরেই দেহ ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ।

কিন্তু ঠিক কী ভাবে মৃত্যু হল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। এ দিন যুথিকাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পুলিশের দাবি, যুথিকাদেবী জানান, প্রতি দিনের মতোই তিনি কাজ শেষে বাজার করে ঘরে ফিরে দু’জনকে এমন অবস্থায় দেখেন। যুথিকাদেবী আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী গত কুড়ি দিন ধরে বেশ অসুস্থ ছিলেন। হাঁটাচলা প্রায় বন্ধ ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে, যদি বার্ধক্যজনিত কারণে বীরেনবাবুর মৃত্যু হয়ে থাকে তা হলে অরিদীপের মৃত্যু হল কী ভাবে? ময়না তদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে, বলছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dead Body Duttapukur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE