স্যাঁতসেঁতে: হাতে সময় কম। বৃষ্টি ভেজা দিনেও তাই কাজ এগোনোর তাগিদ। রবিবার, কুমোরটুলিতে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
জিএসটি আর বৃষ্টি। দুইয়ে মিলে মনভার কুমোরটুলির। জিএসটি-র (পণ্য ও পরিষেবা কর) প্রভাবে প্রতিমা তৈরির নানা সামগ্রীর দাম বাড়ায় কুমোরটুলির শিল্পীদের আগেই মাথায় হাত পড়েছে। এ বার মন খারাপের দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
পুজো বাকি আর দু’মাস দু’দিন। কিন্তু চরম ব্যস্ততায়ও ছন্দ হারিয়েছে কুমোরটুলি। খড়ের কাঠামোয় এখন মাটি লেপার কাজ চলার কথা পুরোদমে। কিন্তু রবিবার কুমোরটুলি গিয়ে দেখা গেল, বৃষ্টির জেরে অধিকাংশ শিল্পী নিজের স্টুডিও প্লাস্টিকে ঢাকতে ব্যস্ত। মাটি আর অসম্পূর্ণ কাঠামো ঢেকে অবসর কাটছে শিল্পীদের। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বৃষ্টি এখনও চলবে। হাওয়া অফিসের এই ঘোষণায় মাথায় হাত পড়েছে শিল্পীদের।
‘কুমোরটুলি মৃৎশিল্প সাংস্কৃতিক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সরকার বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টির জন্য প্রতিমা তৈরি করা যাচ্ছে না। বেশির ভাগ শিল্পীর স্টুডিও খুব কম জায়গা নিয়ে। তাই তাঁরা স্টুডিওর বাইরে প্রতিমা তৈরি করেন। এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে সে কাজে দেরি হচ্ছে। প্রতিমা শুকোতেও সমস্যা হচ্ছে।’’
এই অবস্থায় মৃৎশিল্পীদের জন্য স্থায়ী আবাসের প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে আসছে শিল্পীদের মুখে মুখে। শিল্পী বাবু পালের কথায়, ‘‘কুমোরটুলির শিল্পীদের স্টুডিওর জায়গা খুব সঙ্কীর্ণ। প্রতিমা তৈরির জায়গা একটু বড় থাকলে দুর্যোগের সময়েও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’ রঞ্জিতবাবুর অভিযোগ, ‘‘বাম আমলে কুমোরটুলিকে মডেল পাড়া গড়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কুমোটুলির শিল্পীদের কথা কেউ ভাবেননি। ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy