প্রতীকী ছবি।
রাস্তায় মাত্র কয়েকটি বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলছে। অধিকাংশ বাতিস্তম্ভই অন্ধকার। পথচারী এবং ধীর গতির যানবাহন ওই কম আলোতেই যাতায়াত করছেন। কিন্তু যে মুহূর্তে কোনও দ্রুত গতির যান সেই রাস্তায় আসছে, একসঙ্গে জ্বলে উঠছে সব আলো। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তা জ্বলে থাকছে।
কোনও রহস্য গল্প নয়। বিদ্যুতের খরচ কমাতে এমন পরিকল্পনাই করেছে হিডকো। আপাতত নিউ টাউনের একটি রাস্তায় পরীক্ষামূলক ভাবে ওই পরিকল্পনা কার্যকর করার কাজও শুরু হয়েছে। তা সফল হলে ধাপে ধাপে ওই উপনগরীর একাধিক রাস্তায় এমন পরিকল্পনা রূপায়িত করা হবে। হিডকো কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে বছরে বিদ্যুতের বিলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
কেন এমন অভিনব পরিকল্পনা?
বিদ্যুতের খরচ কমাতে গিয়ে হিডকোর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নিউ টাউনের বেশ কিছু রাস্তায় রাতে বিশেষ গাড়ি চলাচল করে না। অথচ সারা রাত ওই সব রাস্তায় আলো জ্বলে। কিন্তু, আলো পুরোপুরি নিভিয়ে করলেও বিঘ্ন ঘটবে নিরাপত্তা ও নজরদারিতে। অসুবিধায় পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই ঠিক হয়, পথচারী এবং ধীর গতির যানবাহনের জন্য রাস্তার ২টি বাতিস্তম্ভ অন্তর ১টি বাতিস্তম্ভে আলো জ্বলবে।
হিডকো সূত্রের খবর, আপাতত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেজর আর্টারিয়াল রোড (১) পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ জুড়ে পরীক্ষামূলক ভাবে কাজ শুরু হয়েছে। চৌম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে, রাস্তার নীচে ধাতব পাত বসিয়ে এবং সেন্সরের সাহায্যে আলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। হিডকোর দাবি, রাস্তায় এলইডি আলো ব্যবহার করে আগের তুলনায় বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয় হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। সে কারণেই এমন পরিকল্পনা। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের একাংশের অনুমান, নতুন এই ব্যবস্থা দূষণ রোধেও সহায়ক হবে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, নতুন এই ব্যবস্থায় রাস্তায় আলো জ্বলবে গাড়ি চলাচলের উপরে ভিত্তি করে। যদি কোথাও পর্যাপ্ত গাড়ি না চলে, তা হলে সেই রাস্তা কার্যত অন্ধকারেই থাকবে। সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নজরদারি কত দূর নিশ্চিত করা যাবে, সেটাই প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে হিডকোর একটি অংশ বলছে, যে সব রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি, সেখানে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে না। সংস্থার চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসেবে একটি রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে। তা সফল হলে, যানবাহনের চাপ কম এমন রাস্তাতেই এই পরিকল্পনা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy