সবুজ: এ ভাবেই হয়েছিল বোতলে টমেটো চাষ। —নিজস্ব চিত্র।
শুধু পড়াশোনা নয়। পঠন-পাঠনের পাশাপাশি সৃষ্টিসুখে পড়ুয়াদের মাতাতে তাদের দিয়ে টমেটো চাষ করাল একটি স্কুল। মাটিতে নয়, প্লাস্টিকের বোতলে।
সম্প্রতি হেরিটেজ স্কুলে এমনই অভিনব টমেটো চাষ করল পড়ুয়ারা। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র শশাঙ্ক অগ্রবাল বলেন, প্লাস্টিকের বোতলে টমেটো চাষ করানোয় শুধু যে তারা নতুন জিনিস শিখছে তা-ই নয়, নিজেরাও নতুন প্রাণ সৃষ্টির সাক্ষী থাকছে।
মাটি ছাড়া কী ভাবে টমেটো চাষ হল? তিনি জানান, বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে হাইড্রোপনিক্স। বোতলে নির্দিষ্ট পরিমাণে রাসায়নিক মিশিয়ে দেওয়া হয়। তার পরে বোতলে বীজ ফেলে চাষ করা যায়, দু’সপ্তাহ পরে টমেটো গাছ বেরোয়। হেরিটেজ স্কুলের প্রিন্সিপাল সীমা সাপ্রু বলেন, ‘‘কী চাষ হয়েছে, কী ভাবে চাষ হয়েছে, সেটা বড় কথা নয়। আসল কথা, পড়ুয়ারা গাছে টমেটো ফলিয়ে আনন্দ পেয়েছে।’’
দলবদ্ধ ভাবে কাজ করার উপরে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। ২০১৩ সালের নতুন সিলেবাসে এই কাজগুলোর নির্দেশ রয়েছে। পড়ুয়াদের সমাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলির থেকে বাংলা মাধ্যমও যে পিছিয়ে নেই সেটা প্রমাণ করতে বেশি করে সামাজিক কাজ করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলে এই নিয়ম মানে বলে দাবি স্কুলশিক্ষা দফতরেরই এক আধিকারিকের। তবে শহরের স্কুলে স্থানাভাব যে প্রধান কারণ সেটাও জানান তিনি।
যেমন, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ইচ্ছা তো আছে অনেক কিছু করার। জায়গা কম থাকার কারণে করা হয়ে ওঠে না।’’ তবে স্থানাভাব থাকলেও শুধু চাষই নয়, নানা রকম কাজের মাধ্যমেও যে পড়ুয়াদের দলবদ্ধ হতে শেখানো যায় সেটাই মানছেন রামমোহন মিশন স্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘জায়গার অভাবে আমাদের স্কুলে এমন কাজ করা যায় না। তবে দলবদ্ধ ভাবে বিভিন্ন সৃষ্টিশীল কাজ করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy