Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
যাদবপুর

কমিটিতে ঠাঁই হবে কি ছাত্রদের, রয়েই গেল প্রশ্ন

ছাত্রছাত্রীদের দাবি, শারীরিক নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টার্নাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি) বা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখতেই হবে। কিন্তু ওই কমিটিতে ছাত্র-প্রতিনিধি রাখা উচিত কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট মত দিতে পারলেন না জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞেরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০২:৫৭
Share: Save:

ছাত্রছাত্রীদের দাবি, শারীরিক নিগ্রহ ও শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টার্নাল কমপ্লেন্টস কমিটি (আইসিসি) বা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখতেই হবে। কিন্তু ওই কমিটিতে ছাত্র-প্রতিনিধি রাখা উচিত কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট মত দিতে পারলেন না জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞেরাও।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার একটি সভার আয়োজন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি আইনের ভিত্তিতে আইসিসি গড়া হয়েছে যাদবপুরে। কিছু দিন আগেও ওই কমিটিতে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধি থাকতেন। কিন্তু সম্প্রতি কমিটি পুনর্গঠন করে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এরই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ছাত্রছাত্রীদের একটি বড় অংশ। তাঁদের দাবি, ওই কমিটিতে ফের পড়ুয়া-প্রতিনিধি নিতে হবে। এই দাবি কতটা সঙ্গত, এ দিনের আলোচনাসভার অন্যতম আলোচ্য ছিল সেটাই। জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে এই ব্যাপারে একটা পথনির্দেশ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে পরিষ্কার অভিমত পাওয়া গেল না।

যে-আইনের ভিত্তিতে আইসিসি গড়া হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সেটা পুরোপুরি বলবৎ করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে এ দিনের আলোচনাসভায়। এবং সেই প্রশ্নেরও কোনও সুরাহা হয়নি। একটি ছাত্রীর শ্লীলতাহানিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার জেরে পঠনপাঠন থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম, সবই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তখনকার উপাচার্যের ইস্তফার পরে পরিস্থিতি সবে স্বাভাবিকতার খাতে বইতে শুরু করে। তার মধ্যেই সেখানে আবার উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ।

২০ মার্চ রাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সেখানকার তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানান যাদবপুর থানায়। সাম্প্রতিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ-প্রশাসন দু’পক্ষই এ বারের অভিযোগ নিয়ে সন্তর্পণে এগোচ্ছেন। সোমবার দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করেও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জামিন দিয়ে দেয় পুলিশ। গত বুধবার অন্য এক ছাত্রকেও গ্রেফতার করে জামিন দেওয়া হয়। ওই ছাত্রীর অভিযোগ আপাতত খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিসি। এই অবস্থায় ওই কমিটিতে ফের ছাত্রছাত্রীদের অন্তর্ভুক্তির দাবি এবং সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE