তৃণমূলপন্থী শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাকর্মীরা স্বাভাবিক ভাবেই অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল গড়ার সরকারি সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক বলেই বুধবার প্রস্তাব নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেক হোল্ডার্স ফোরাম। আপাতত ধর্না উঠলেও জট রয়েই গেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে গড়া ফোরাম এ দিন বৈঠকে বসেছিল। তৃণমূলপন্থী শিক্ষক, পড়ুয়া, শিক্ষাকর্মীরা সেখানে অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের পক্ষে সওয়াল করেন। বাকি সকলেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে আবার আলোচনায় বসার জন্য পড়ুয়াদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিলের বিরোধিতায় সোমবার থেকে কর্মসমিতির বৈঠকের বাইরে অবস্থান চালাচ্ছিলেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পক্ষকে নিয়ে স্টেক হোল্ডার ফোরাম গড়ে আলোচনার আশ্বাস পেয়ে অবস্থান তুলে নেওয়া হয়।
স্টেক হোল্ডার্স ফোরামের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকারে আঘাতের সামিল। অগণতান্ত্রিক এই সিদ্ধান্ত পড়ুয়াদের স্বার্থের পরিপন্থী। রাজনৈতিক ছাত্র সংসদের পক্ষেই এ দিন ফোরামের সিংহ ভাগ সদস্য মত দিয়েছেন। যে-আইন অনুযায়ী অরাজনৈতিক ছাত্র কাউন্সিল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বিশ্লেষণের জন্য শুক্রবার ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার পরে সরকারকে প্রস্তাব জানানো হবে বলে জানান রেজিস্ট্রার পার্থপ্রতিম লাহিড়ী। অগস্টের মতো এ বারেও প্রায় দেড় দিন ধর্না চলে। শিক্ষামন্ত্রী বুধবার বলেন, ‘‘ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত।’’ আগেও আলোচনা হয়েছে। ‘‘কারও গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করতে চাই না আমরা। আইনের মধ্যে থেকে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy