প্রতীকী ছবি।
প্রতারণার অভিযোগে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার তাঁর মালিকানাধীন একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিল কলকাতা পুরসভা। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডে, খন্না মোড়ের কাছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শরদ সিংহ নামে ওই ব্যবসায়ী খন্না মোড়ের কাছে এক বহুতলে থাকেন। মাস চারেক আগে ওই বহুতলের পাশেই একটি রেস্তোরাঁ খোলেন তিনি। পুরসভার অভিযোগ, সেটি বেআইনি। নির্মাণটি ভাঙতে এ দিন সকালে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান পুরসভার অফিসারেরা। তার পরে শুরু হয় ভাঙার কাজ। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভার অনুমতি ছাড়াই ওই রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছিল। তা ছাড়া, ওই বহুতল আবাসনের বেসমেন্টের একাংশও জবরদখল করা হয়েছিল। পুরসভার তরফে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’
যদিও এই নির্মাণ ভাঙার পিছনে রাজনৈতিক গন্ধ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শেয়ার ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ ডিসেম্বর শরদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। ধৃতের আত্মীয়েরা জানান, শরদের পরিবারের কাছ থেকে কেনা একটি ফ্ল্যাটে মুকুল অফিস খুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই শরদকে গ্রেফতারের পাশাপাশি নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এ দিন মুকুল রায় বলেন, ‘‘শরদের মাধ্যমে খন্না মো়ড়ের কাছে বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে আমার জন্য একটি অফিস নেওয়া হয়েছে। আমাকে জায়গা দেওয়ার ‘অপরাধেই’ শরদকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার কোনও নোটিস না পাঠিয়েই ওঁর রেস্তোরাঁ-অফিস ভেঙে দেওয়া হল। তৃণমূল সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।’’ ধৃতের দাদা আনন্দকুমার সিংহেরও অভিযোগ, ‘‘নির্মাণ ভাঙার আগে পুরসভার তরফে আমাদের কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি।’’
অভিযোগের জবাবে মেয়র বলেন, ‘‘এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। ওঁদের নোটিস অবশ্যই পাঠানো হয়েছিল। পুর আইন মেনেই ওই নির্মাণ ভাঙা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy