ফি বছর বর্ষায় বি টি রোড-সহ বরাহনগরের বেশ কিছু এলাকায় জল জমে। এ বার সেই পরিচিত ছবি বদলাতে পুর কর্তৃপক্ষকে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। শুধু তা-ই নয়, পুরসভা, পূর্ত দফতর এবং কেএমডিএ-র আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থাও সরেজমিন খতিয়ে দেখলেন তিনি।
পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বরাহনগরে এসে প্রধান নিকাশি ব্যবস্থা বাগজোলা খাল পরিদর্শন করেন। খালের নিকাশির উন্নয়নে কাজ করছে সেচ দফতর। খালের জল যাতে উদয়পুর খালে পড়ে, সে জন্য নোয়াপাড়ায় রেল সেতুর নীচে নালা তৈরি হচ্ছে। তা-ও দেখেন জেলাশাসক। ছিলেন বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, চেয়ারম্যান পারিষদ (জনস্বাস্থ্য) দিলীপনারায়ণ বসু-সহ অন্য আধিকারিকেরা।
দিলীপনারায়ণবাবু জানান, বরাহনগর পুরসভার ১১টি ওয়ার্ড ও কলকাতা পুরসভার একটি ওয়ার্ডের জমা জল বাগজোলা খালে পড়ে। তিনি বলেন, ‘‘খালের পলি তোলার জন্য সেচ দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। তা হলে বি টি রোডের পূর্ব পাড়ে জল জমার সমস্যা মিটবে।’’
অন্য দিকে পুরসভা, কেএমডিএ এবং পূর্ত কর্তাদের নিয়ে সিঁথির মোড় থেকে দক্ষিণেশ্বর লকগেট পর্যন্ত নিকাশি ব্যবস্থাও ঘুরে দেখেন জেলাশাসক। বি টি রোডের পশ্চিম দিকে নিকাশির জল দক্ষিণেশ্বর লকগেট হয়ে গঙ্গায় পড়ে। দিলীপনারায়ণবাবু বলেন, ‘‘বর্ষার আগেই বি টি রোডের সব ভূগর্ভস্থ নালা থেকে পলি তোলার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।’’
বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‘সারা বছরই পুরসভা নিকাশি সংস্কারের কাজ করে। তাই এখন কয়েক ঘণ্টায় জল নেমে যায়। তবে এ বারের বর্ষায় যাতে সেটুকুও না হয়, তার জন্যই প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy