প্রতীকী ছবি।
উপলক্ষ উৎসব। কিন্তু সেই উৎসবের মঞ্চকেই টানা ১০ দিন ধরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচারের কাজে লাগাতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।
বড়দিন থেকে জানুয়ারির শেষ— এই সময়টায় মেলা, পিকনিক, উৎসবের জেরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার সচেতনতা অভিযানে ভাটা পড়তে পারে বলে পুরসভার অন্দরেই সংশয় দেখা দিয়েছিল। পুরসভা যে কোনও ভাবেই ওই অভিযানের রাশ আলগা হতে দিতে রাজি নয়, তা বোঝাতে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া যোধপুর পার্ক উৎসবে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার সচেতনতায় পৃথক প্যাভিলিয়ন রাখা হচ্ছে বলে জানান মেয়র পারিষদ (রাস্তা) রতন দে।
রতনবাবু বলেন, উৎসবে প্রচুর মানুষ গান-বাজনা শুনতে আসবেন ১০ দিন ধরে। তাঁদের সকলকেই ওই সচেতনতা প্যাভিলিয়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য বলছে, মহানগরীর যে সব এলাকা ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া প্রবণ বলে চিহ্নিত, তার মধ্যে অন্যতম ওই মেয়র পারিষদের ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড। যোধপুর পার্ক উৎসবও হচ্ছে ওই ওয়ার্ডেই। তাই উৎসবের মঞ্চকেই সচেতনতা অভিযানের জন্য ব্যবহার করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা।
পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া দমনে উদ্যোগী হতে বলেছেন। প্রতিটি কাউন্সিলরকে সেই কথাটা ভাল ভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কোনও উৎসব বা মেলাই হোক না কেন, সেখানে মশাবাহিত রোগ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে নিয়ে সচেতনতা শিবির করতে হবে।
পাশাপাশি এলাকায় যাতে থার্মোকলের গ্লাস, বাটি, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে না থাকে, তার উপরেও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বৃষ্টি হলেই ওই পরিত্যক্ত পাত্রে জল জমবে এবং সেখানে মশা ডিম পাড়বে বলে কাউন্সিলরদের সতর্ক করে দিয়েছে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর।
পুর স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, চলতি বছরে কী ভাবে তারা মশাবাহিত রোগের মোকাবিলা করবে, সেই পরিকল্পনার খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার কাছ থেকে সেই পরিকল্পনার তালিকা নিয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভাও। উৎসব-মেলার জন্য কলকাতা পুরসভার তৈরি আগাম পরিকল্পনা ঠিকমতো রূপায়িত করা সম্ভব হবে কি না, সেই সংশয় ছিল। তা নিশ্চিত করতে এখন উৎসব-মেলাকেই সচেতনতা প্রচারের কাজে প্রাথমিক ভাবে ব্যবহার করে দেখতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।
এই পরিকল্পনা যোধপুর পার্ক উৎসব দিয়েই শুরু হচ্ছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। যোধপুর পার্কের তালতলা মাঠে ৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি চলবে উৎসব। গান-বাজনার পাশাপাশি থাকছে যোগব্যায়াম শিবির, হস্তশিল্পের প্রদর্শনী, পিঠেপুলির স্টলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy