প্রতীকী ছবি।
শহরের নামকরা পাঁচতারা হোটেল। সেখানকার নাইট ক্লাবেই অবৈধ ভাবে দামি বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ বিক্রির অভিযোগ উঠল।
শনিবার মাঝরাতে তখন উৎসব চলছিল এজেসি বসু রোডের ওই হোটেলের নাইট ক্লাবে। সেখানে আবগারি অফিসারেরা হানা দিয়ে দেখলেন, বেআইনি ভাবে দামি বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ বিকোচ্ছে। কারণ যে সব বোতল থেকে মদ ঢালা হচ্ছে, সেগুলি সব ডিউটি-ফ্রি শপ থেকে নেওয়া। কোনওটির ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারকে আবগারি শুল্ক দেওয়া হয়নি।
অফিসারদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই ডিউটি-ফ্রি শপ থেকে বিদেশি মদ কিনে তার সঙ্গে সস্তার দেশি মদ মিশিয়ে দেওয়ার চল আছে। একটি বোতল থেকে সে ক্ষেত্রে তিন বোতল মদ তৈরি হয়। আগেও এ ভাবে নকল বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত করেছে আবগারি দফতর। শনিবার ওই নাইট ক্লাব থেকে যে ৮৩ বোতল বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার মধ্যেও সেই নকল মদ থাকতে পারে বলে অফিসারদের অনুমান। বাজেয়াপ্ত হওয়া মদ রাসায়নিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
এক আবগারি অফিসারের কথায়, ‘‘যাঁরা নিয়মিত বিদেশি মদ খান, তাঁরা নকল মদের স্বাদ ধরতে পারেন। কিন্তু আমরা দেখেছি, এ সব ক্ষেত্রে প্রথম দু’-তিন পেগ আসল মদ দেওয়ার পরে চার নম্বর পেগ থেকে নকল মদ দেওয়া হয়। তখন আর স্বাদের তফাত সে ভাবে ধরা পড়ে না।’’
কী করে জানা গেল এই হোটেলের কথা? দিন কয়েক আগে ডিউটি ফ্রি শপ থেকে পাওয়া নামী বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন আবগারি অফিসারেরা। জানা যায়, তিনি ডিউটি ফ্রি শপ থেকে বিদেশি মদ কিনে সরবরাহ করতেন এই হোটেলে। অফিসারদের কথায়, ‘‘বিদেশ থেকে আসার পথে কেউ বিমানবন্দরের ডিউটি ফ্রি শপ থেকে দু’বোতল মদ কিনতে পারেন। সেই মদ বাড়িতে আত্মীয়-বন্ধুদের খাওয়াতেও পারেন। কিন্তু, তা বাইরে হোটেলে বিক্রি করা অপরাধ।’’
আবগারি দফতর সূত্রের খবর, আজ, সোমবার থেকে ওই নাইট ক্লাবটি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। সংশ্লিষ্ট হোটেলের ম্যানেজার ও ডিরেক্টরদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হোটেলের লবি ম্যানেজার বিবেক চক্রবর্তী জানান, রবিবার হওয়ায় এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কোনও কর্তাকে পাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy