মৃত্যু হয়েছে এই শিশুর। (পাশে) বাবা রোহিত জায়সবাল। নিজস্ব চিত্র
ঐত্রী দে-র পরে ফের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানায়, যাদবপুরের সুলেখা মোড় এলাকার বাসিন্দা রোহিত ও নেহা জায়সবালের অভিযোগ, হাসপাতালের গাফিলতিতেই মারা গিয়েছে তাঁদের পাঁচ মাসের শিশুপুত্র। শুক্রবার ওই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মুকুন্দপুর আমরিতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। পরে সন্ধ্যায় পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত শিশুটির পরিবার। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এই ধরনের সমস্যায় বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। সেটা ভর্তির সময়েই শিশুটির পরিবারকে আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলাম। কারণ, শিশুটি যখন ভর্তি হয়, তখন তার বয়স চার মাস। সে খেতে পারত না। হিমোগ্লোবিনও খুব কম ছিল। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্যও ঠিক ছিল না। এতে যে একের পর এক সমস্যা হতে পারে, সেটাও আগে থেকে বলা হয়েছিল। আর সে ধরনের সমস্যাতেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।’’
কী হয়েছিল শিশুটির?
ওই পরিবার জানিয়েছে, জন্মের ১০-১৫ দিন পর থেকেই ওই শিশুটি দুধ কিংবা জল খেলেই বমি করে দিত। বারবার এমন হচ্ছে দেখে গত ৩০ এপ্রিল তাকে মুকুন্দপুর আমরিতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে শিশুটিকে ভর্তি করানোর পরে তার আলট্রাসোনোগ্রাফি করান চিকিৎসকেরা। পরে তাঁরা জানান, শিশুটির খাদ্যনালীতে সমস্যা থাকাতেই সে খেতে পারছে না। অস্ত্রোপচার করা দরকার।
সেই মতো গত ৭ মে শিশুটির অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। তার বাবা রোহিতের অভিযোগ, ‘‘অস্ত্রোপচারের পরে আইসিইউ-তে ৪৮ ঘণ্টা রাখার কথা বলা হলেও টানা এত দিন ধরে আমার ছেলেকে আইসিইউ-তে রেখে দেয় হাসপাতাল। গত বুধবার রাতে আমাদের ফোনে জানানো হয়, ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে।’’ বাবার দাবি, এর পরে তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন, শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এর পরে শিশুটি কেমন আছে, তা ঠিকমতো জানায়নি হাসপাতাল। শুক্রবার আত্মীয়স্বজনদের বিষয়টি জানান রোহিত।
অভিযোগ, এ দিন বেলায় রোহিতের পরিজনেরা ওই শিশুটির খবর নিতে গেলে জানানো হয়, সে কোমায় চলে গিয়েছে। পরে সন্ধ্যায় বলা হয়, তার মৃত্যু হয়েছে। সেই খবর পেয়েই পূর্ব যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy