Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

দুই অধ্যক্ষের ‘দ্বৈরথে’ বন্ধ কলেজ ক্যান্টিন

কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ওই কলেজের দিবা ও প্রাতঃ বিভাগের দুই অধ্যক্ষের বিবাদে এখনও তালাবন্ধ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে ক্যান্টিনটি।

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ।

যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৮ ০২:১১
Share: Save:

দু’বছরেও খুলল না যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের ক্যান্টিন!

কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের ওই কলেজের দিবা ও প্রাতঃ বিভাগের দুই অধ্যক্ষের বিবাদে এখনও তালাবন্ধ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে ক্যান্টিনটি। ফলে পরীক্ষা চলাকালীনও এখন সেখানকার পড়ুয়াদের কলেজের বাইরে গিয়ে খাবার খেতে হচ্ছে।

যদিও কলেজের দিবা বিভাগের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় এবং সকালের অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েন্কা দু’জনেই দাবি করছেন, আপাতত কোনও বিবাদ নেই তাঁদের মধ্যে। দু’জনেই জানান, ক্যান্টিনটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি খোলা হবে। এখন আর কোনও সমস্যা নেই।

কিন্তু কেন তৈরি হয়ে গেলেও ক্যান্টিন খোলা হচ্ছে না, তা নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি দু’জনের কেউই।

কলেজ সূত্রের জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ১৪মে ন্যাকের পরিদর্শনের আগে ক্যান্টিন, কমন রুম এবং ছাত্র সংসদের ঘর সংস্কারে হাত দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। আইন কলেজ এবং দিবা বিভাগের বৈঠকে ঠিক হয়, দরপত্র ডেকে কাজের ভার দেবে আইন কলেজ। খরচের টাকা দু’পক্ষই সমান ভাগে দেবে। সেই মতো দরপত্র ডেকে পূর্ত বিভাগকে কাজের ভার দেওয়া হয়। অভিযোগ, সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে গেলেও ক্যান্টিন খোলা যায়নি।

গত বছরের মে মাসে দুই অধ্যক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন। পঙ্কজবাবু বলেন, ‘‘আইন কলেজের অধ্যক্ষ সহযোগিতা করছেন না। তিনি আইন কলেজের জন্য পৃথক রান্নাঘর এবং পৃথক খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চান। অকারণে জায়গা নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জেরে পড়ুয়াদেরই সমস্যা হবে।’’

সুনন্দাদেবী পাল্টা বলেন, ‘‘আসল কথা, আইন কলেজকে ওই ক্যাম্পাস থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দিবা কলেজের অধ্যক্ষই আমাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছেন না। এই কারণেই ক্যান্টিন খোলা যাচ্ছে না।’’

দুই অধ্যক্ষের মধ্যে এই ‘দ্বৈরথের’ প্রেক্ষিতে ক্যান্টিন নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা জানান পড়ুয়ারা। ছাত্র সংসদের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, চলতি মাসের মধ্যে ক্যান্টিন না খুললে খাবার নিয়ে দুই অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বসে পড়বেন তাঁরা।

কলেজের ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে নীল বসু বলেন, ‘‘আসলে ক্যান্টিন কে চালাবেন, তা নিয়েই দুই অধ্যক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছে। তা ছাড়া, এক অধ্যক্ষের নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন। ক্যান্টিন সমস্যা এঁরা মেটাবেন কী করে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE