Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রোমাঞ্চ খুঁজতে ছিনতাই, গ্রেফতার ২

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা এমন দাবি করলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হাতখরচের টাকা জোগাড় করতেই ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা।

পাকড়াও: আদালতের পথে ধৃতেরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

পাকড়াও: আদালতের পথে ধৃতেরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৮ ০২:০৮
Share: Save:

প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে চেপে ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছে দুষ্কৃতী অথচ পুলিশ ধরতে পারছে না— এতেই তাঁরা অ্যা়ডভেঞ্চার খুঁজে পেতেন বলে দাবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই যুবকের। একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বুধবার রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে বিধাননগর পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা এমন দাবি করলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হাতখরচের টাকা জোগাড় করতেই ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। বছর চব্বিশের দুই ধৃতের নাম জিৎ খন্না ও বিশাল সোনি। বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে বিচারক তাঁদের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন।

চলতি বছরের মার্চে এইচ-বি ব্লকে রাস্তায় হাঁটছিলেন এক মহিলা। তখন পিছন থেকে স্কুটারে চেপে এসে দুই যুবক তাঁর ব্যাগ ছিনিয়ে পালায়। ব্যাগে মোবাইল, টাকা, এটিএম কার্ড ছিল। সেই মোবাইলের আইএমইআই নম্বরের সূত্রে পুলিশ তাঁদের অবস্থান জানতে পারে। তার পরেই এন্টালি থেকে থেকে জিৎ এবং বাগুইআটি থেকে বিশালকে ধরা হয়।

পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছেন যে, সল্টলেকে সিএফ ব্লক, খালধার-সহ একাধিক জায়গায় তাঁরা ছিনতাই করতেন। এ জন্য মূলত নির্জন জায়গাগুলিকে বেছে নিতেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কি না, দেখছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানান, জিৎ ও বিশাল ছোটবেলায় একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়তেন। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্ব হয়। ধৃতদের এক জনের পারিবারিক সোনার দোকান রয়েছে, অন্য জনের পারিবারিক বিপিও-র ব্যবসা। এর থেকে স্পষ্ট যে তাঁদের অর্থের অভাব ছিল না। অনুমান, অতিরিক্ত হাতখরচের টাকা জোগাড় করতেই ধৃতেরা এই কাজ করতেন।

তবে পুলিশের গতিবিধির উপরে ধৃতদের নজরদারি ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারীদের। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, পুলিশ মোটরবাইকের উপরে নজরদারি চালালেও সাধারণত স্কুটারের ক্ষেত্রে ততটা নজরদারি থাকে না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাঁরা স্কুটারে চেপেই ছিনতাই করতেন।

মনোরোগ চিকিৎসক প্রদীপ সাহার কথায়, ‘‘নিজেদের খুশি মতো জীবনযাপনের খরচ বহন করতে গিয়ে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা থাকে। তবে ১৭ থেকে ২৪ বছর বয়সের মধ্যে কোথাও থিতু না হলে ‘দুঃসাহসিক’ কোনও কাজে জড়িয়ে পড়ার মনোভাব তৈরি হয়। অনেক সময় তা থেকে কেউ কেউ অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন। পরিবার বা সমাজ থেকেই উচিত এবং অনুচিতের বোধ তৈরি না হলে মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

youths Snatching Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE