প্রতীকী ছবি।
রাস্তার মোড়ে ডিউটি করছিলেন থানার এক সার্জেন্ট। হঠাৎই তীব্র গতিতে একটি গাড়ি এসে পরপর ধাক্কা মারল দু’টি মোটরবাইকে। বেগতিক বুঝে গাড়ির গতি বাড়িয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করল চালক। তখন দাঁড়িয়ে না থেকে মোটরবাইকে চেপে গাড়ির পিছু নিলেন ওই সার্জেন্ট। প্রায় দেড় কিলোমিটার তাড়া করে গাড়িটিকে ধরেও ফেললেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। গাড়ির চালক এবং আরোহী কয়েক জন যুবক ওই পুলিশকর্মীকে মারধর করে পালিয়ে যায়। ঘটনার জেরে আহত হন মণীশ পাণ্ডে নামে ওই সার্জেন্ট। গ্রেফতার করা হয়েছে তিন যুবককে।
রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে একবালপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন একবালপুর মোড়ে ডিউটি করছিলেন মণীশবাবু। তখন চারবাতির মোড় থেকে একটি গাড়ি তীব্র গতিতে আসছিল। একবালপুর রোড এবং ডেন্ট মিশন রোডের সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি মোটরবাইককে পরপর ধাক্কা মারে সেটি। তখনই গাড়িটির পিছু নেন মণীশবাবু। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে সুধীর বসু রোডে গাড়িটিকে ধরে ফেলেন তিনি।
রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে শুরু হয় বচসা। প্রকাশ্য রাস্তায় ওই সার্জেন্টকে ঘিরে ফেলে ওই যুবকেরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয় যুবকদের একটি দল। তার পরেই ওই পুলিশকর্মীর বুকে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই ধরা ফেলেন তিন যুবককে। কিন্তু বাকিরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কয়েক সপ্তাহ আগেই ভরদুপুরে কালীঘাট ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দুই দুষ্কৃতীকে ধরেছিল চেতলা থানার পুলিশ। সে বারে পুলিশের মুখ উজ্জ্বল হলেও এ বারের ঘটনায় সমালোচনা শুরু হয়েছে।
কলকাতার রাস্তায় এ ভাবে সার্জেন্ট পেটানোর ঘটনা নতুন নয়। কখনও গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় তরুণীর হাতে নিগৃহীত হওয়া, আবার কখনও ট্র্যাফিক নিয়ম শেখাতে গিয়ে প্রহৃত হওয়া— এমন ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি ঘটেছে রাতের অন্ধকারে। কিন্তু এ দিন ভরদুপুরে যে ভাবে ওই সার্জেন্ট মার খেলেন, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুলিশ মহলে। অন্য পুলিশকর্মীরা রাস্তার কোথায় ছিলেন, ওয়াকিটকিতে আদৌ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy