Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কলকাতার কড়চা

তরুণটি তার প্রতিবেশীর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল মধুর প্রস্তাব দেবে বলে, অথচ অচিরেই ঝগড়া বেধে যায় তাদের, আবার ভাবও হয় শেষমেশ... ।

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

আন্তর্জাতিক নাট্য আয়োজন

তরুণটি তার প্রতিবেশীর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল মধুর প্রস্তাব দেবে বলে, অথচ অচিরেই ঝগড়া বেধে যায় তাদের, আবার ভাবও হয় শেষমেশ... । চেখভের কৌতুক-স্নিগ্ধ নরম স্বাদের এই ‘প্রোপোজাল’ নাটকটি (সঙ্গে তারই ছবি) মঞ্চস্থ করবে রাশিয়ার মস্কো থিয়েটার, ব্যালে-র বাতাবরণে মিউজিক্যাল। ৪ জুন অ্যাকাডেমিতে বেলা ১১টায়, কালিন্দী ব্রাত্যজন-এর ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক নাট্য আয়োজন-এ। ৩০ মে থেকে ৪ জুনের এই নাট্যোৎসবে দারুণ সব নাটকের সমাহার। ‘থিয়েটারের প্রসারের জন্যেই এই আয়োজন। ভাল থিয়েটার লোকজনকে দেখানো ছাড়া আর কোনও অভিপ্রায় নেই। শিল্পরীতির দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই এ ধরনের নাটক নির্বাচন। চেখভের নাটকটা বাছার পিছনে অবশ্য আরও একটা কারণ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, উনি নাটকটার রূপান্তর করে প্রথমে নাম দিয়েছিলেন ‘শরতের মেঘ’, পরে অবশ্য ‘প্রস্তাব’ নামে মঞ্চস্থ করেন।’ বলছিলেন ব্রাত্য বসু, কালিন্দী ব্রাত্যজন-এর কর্ণধার। ‘লেবাননের মৌলবাদ বিরোধী চমৎকার একটা নাটক আসার কথা ছিল, ভিসা-র অভাবে আসতে পারল না। খুব কষ্ট করে চালাচ্ছি এ উৎসব, সরকারি অনুদান ছাড়াই,’ খেদ তাঁর গলায়। উদ্বোধনী নাটক স্লোভেনিয়ার ‘জিউইশ ডগ’। উদ্বোধনে সৌগত রায়। সম্মাননীয় অতিথি কবীর সুমন। পশ্চিমবঙ্গ ও কলকাতার নানা নাটকের পাশাপাশি ‘বিষ্ণু বসু স্মারক বক্তৃতা’ দেবেন ঋতা দত্ত চক্রবর্তী, সঙ্গে নবীন নাট্যশিল্পী সংবর্ধনা। আজ বিকেল ৫টায় অক্সফোর্ড বুক স্টোরে প্রাক্ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

প্রতিমা-শিল্পী

সৌম্য-সুন্দর চেহারা ছিল বলেই শিল্পীদের নজর পড়ত তাঁর দিকে। ফলে রবীন্দ্রনাথ চিত্রিত হয়েছেন সারা বিশ্বের বহু শিল্পীর তুলিতে। শুধু ঠাকুরবাড়ির শিল্পীরাই বা কম যান কিসে! অন্য অনেকের মতোই রবীন্দ্রনাথকে এঁকেছিলেন প্রতিমা দেবী। বোর্ডের ওপর ক্রেয়নে আঁকা (৩৫.৫ x ৪৪.৫ সেমি) সেই ছবিটি বর্তমানে রয়েছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সংগ্রহে। সেন্ট্রাল হলে কবিপক্ষে সেই প্রতিকৃতিটি সাধারণের সামনে প্রদর্শিত হচ্ছে এ মাসের দ্রষ্টব্য হিসেবে, সঙ্গের ছবি।

দেখনদারি

আশঙ্কা, ভবিষ্যতে টান পড়বে জ্বালানিতে। বিকল্পের দিশা এখন থেকেই ঠিক করে নিতে হবে। এই লক্ষ্যেই এ দেশে আয়োজিত হচ্ছে ইলেকট্রিক ভেহিকেল এক্সপো। ১২-১৪ মে কলকাতায় চতুর্থ বারের মেলাটি হয়ে গেল। তিন দিনের এই বৈদ্যুতিন গাড়ির মেলায় ছিল অগ্রণী ৫৪টি গাড়ি কোম্পানি, এর মধ্যে ১৫টিই এসেছিল চিন থেকে। আয়োজক সংস্থার সভাপতি রাজীব অরোরা জানালেন, অচিরেই বিদ্যুৎচালিত বিলাসবহুল ছোট গাড়ি এবং বাস চলে আসবে, এসির ব্যবস্থাও থাকবে। ক্রমেই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। কোম্পানিগুলি এখন নজর দিতে শুরু করেছে গাড়ির বাহ্যিক চেহারায়। এই গাড়ি মেলাতেই খুঁজে পাওয়া গেল ফেলে আসা দিনের দেখনদারি গাড়িকে! আগামীতে এই গাড়িতেই কি বাবুরা গঙ্গার ধারে হাওয়া খাবেন! সঙ্গের ছবি: গোপী দে সরকার।

নাট্য বক্তৃতা

সময়কে স্পর্শ করতে চান একজন নাট্যকার। সময় ও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মনের মধ্যে যে বদলগুলো ঘটতে থাকে তাই প্রকাশ পেতে থাকে তাঁর লেখায়... এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লোরকা কিংবা সার্ত্র-র কথাও বলছিলেন চন্দন সেন, ‘ভাষার, ভাবের, প্রকাশভঙ্গির যে বিবর্তন, তা নিয়েই বলব, অবশ্যই আত্মজীবনের সূত্র ধরে।’ সায়ক নাট্যগোষ্ঠী আয়োজিত ২৯-৩০ মে প্রতি দিন সন্ধে সাড়ে ৬টায় বাংলা আকাদেমি ও জীবনানন্দ সভাগৃহে নাটককারদের নিয়ে যে ‘নাট্য বক্তৃতামালা’, তাতে প্রথম বক্তা তিনিই, বিষয়: ‘নাটককারের বিবর্তন’। আর ‘নাটককারের সুখ-দুঃখ’ বিষয়ে বলবেন দেবাশিস মজুমদার, ‘দর্শকের গ্রহণ, অভিনেতা বা নির্দেশকের প্রকাশ কিংবা প্রয়োগের উপরেই দাঁড়িয়ে আমাদের অর্জন। সফলতা অসফলতা, সুখ দুঃখ, ওই পরিপ্রেক্ষিত ঘিরেই সব কিছু।’ আছেন আরও দু’জন তরুণ বক্তা: তীর্থঙ্কর চন্দ ও উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।

নিবেদিতা

নিবেদিতার কাছে ভারতবর্ষ শুধু একটি ভূখণ্ডমাত্র ছিল না, ছিল ইষ্টদেবতাস্বরূপ। তাঁর প্রত্যক্ষ ছাত্রী সরলাবালা সরকারের স্মৃতিচারণে জানা যায়, ছাত্রীদের তিনি ভারতবর্ষ নাম জপ করতে বলতেন, এমনকী ভাবমগ্ন হয়ে জপমালা হাতে নিয়ে নিজেই জপ করতেন। এর প্রকৃত তাৎপর্য আজ আমরা বিস্মৃত হয়েছি, আর সেই কথা মনে করিয়ে দিতেই ধ্রুপদী এষণা পত্রিকার (সম্পা: সৌরেন সমাজদার) ‘ভগিনী নিবেদিতা জন্মসার্ধশতবার্ষিকী’ সংখ্যার পরিকল্পনা। পাঁচশো পাতার সংখ্যাটির প্রথমে সাম্প্রতিক রচনা, দ্বিতীয় পর্বে দুর্লভ বাংলা ও ইংরেজি রচনাদির পুনর্মুদ্রণ, তৃতীয় পর্বে ‘কাবুলিওয়ালা’র নিবেদিতা-কৃত অনুবাদ ও তাঁর বইয়ের দুটি আলোচনা, নানা সংবাদ এবং শেষে সম্পাদক-সংকলিত গ্রন্থ ও রচনাপঞ্জি। নানা দিক থেকে গভীরে গিয়ে আলো ফেলার কাজে সম্পাদকের শ্রম সার্থক। ৩ জুন সন্ধ্যা ৬ টায় বিবেকানন্দ সোসাইটিতে সংখ্যাটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ও আলোচনা, থাকছেন স্বামী বলভদ্রানন্দ, তরুণ গোস্বামী ও সুশোভন অধিকারী।

সিনেমার আড়ালে

সত্যজিৎ ছাড়াও আর যে সব বিশিষ্ট পরিচালকের ছবিতে ক্যামেরা চালিয়েছেন সৌম্যেন্দু রায়, তাঁদের মধ্যে অন্যতম তরুণ মজুমদার, তাঁর ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়েওছেন সৌম্যেন্দু, নিজের সদ্য প্রকাশিত চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র বইটিতে। আবার তরুণবাবুরও সদ্য প্রকাশিত বাতিল চিত্রনাট্য-এ উঠে এসেছে সৌম্যেন্দুর কথা। চলচ্চিত্রের এই দুই নেপথ্য নায়কের বই দু’টির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ১ জুন গোর্কি সদনে সন্ধে ৬টায়। সঙ্গে একটি আলোচনাও: ‘সিনেমার আড়ালে’। নেপথ্য দুই স্রষ্টার পাশে থাকবেন কিংবদন্তি নায়কও— সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সভা পরিচালনায় শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়োজনে বই দু’টির প্রকাশক দে’জ ও আইজেনস্টাইন সিনে ক্লাব।

বর্ণময় জহর

কথায় বলে ‘রং তুলি মন— আঁকে তিনজন।’ সেই রঙের জগতে নিমগ্ন শিল্পী জহর দাশগুপ্ত পঁচাত্তর বছর পূর্ণ করলেন। বাবা মহেন্দ্রনাথ কর্মসূত্রে ছিলেন জামশেদপুরের বাসিন্দা, সেখানেই ১৯৪২-এ তাঁর জন্ম। কলেজের পাঠ শেষের আগেই শান্তিনিকেতন কলাভবনে শিল্পশিক্ষা শুরু। রামকিঙ্কর, বিনোদবিহারীকে পেয়েছিলেন শিক্ষক হিসেবে। ১৯৬৭ সালে বিড়লা অ্যাকাডেমিতে প্রথম একক প্রদর্শনী হল তাঁর, আজ সেখানেই তিনি অধ্যক্ষ পদে আসীন। দেশেবিদেশে তাঁর বহু প্রদর্শনী হয়েছে। এখনও বসুনগরের স্টুডিয়োতে তাঁর তুলি সক্রিয়। ৩ জুন অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের মমার্ত প্রাঙ্গণে তাঁকে নিয়ে অনুষ্ঠান, রবীন মণ্ডল উদ্বোধন করবেন ভিশন অ্যান্ড ভিসুয়াল/ দ্য ড্রিম জার্নি অব অ্যান আর্টিস্ট বইটি, দেখানো হবে সন্দীপ রায়ের তথ্যচিত্র ‘বর্ণময় জহর’।

নজরুল মেলা

কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে ছায়ানটের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে একটি নজরুল মেলা। নানা সংস্থা এবং দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে ১-৪ জুন শিশিরমঞ্চ, অবনীন্দ্র সভাগৃহ এবং গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শশালা জুড়ে এই আয়োজন। ১ জুন বিকেল ৫টায় উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের শিল্পী ফেরদৌস আরা এবং বাংলাদেশের নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্দেশক মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, থাকবেন কল্যাণী কাজিও। বিভিন্ন দিনের অনুষ্ঠানে থাকবেন অলকানন্দা রায়, থাঙ্কমণি কুট্টি, দেবজ্যোতি বসু, মল্লার ঘোষ প্রমুখ। আলোকচিত্রী প্রশান্ত অরোরার সংগ্রহ থেকে সেকাল-একালের বিখ্যাত নজরুলগীতি গায়কদের স্বাক্ষরিত আলোকচিত্রের প্রদর্শনী চলবে গগনেন্দ্র শিল্পপ্রদর্শশালায়। সঙ্গে চিত্রকলা, বই, ডাকটিকিট, মুদ্রা, পাণ্ডুলিপির প্রদর্শনী। অবনীন্দ্র সভাগৃহে ৪ জুন আলোচনায় সৈয়দ হাসমত জালাল, বিনোদ ঘোষাল, কল্যাণী কাজি, মাসুম চৌধুরী, মুজিবর রহমান এবং কামালুদ্দিন প্রমুখ।

থার্ড আই

থার্ড আই ফটোগ্রাফি উৎসব এখন ‘থার্ড আই ভিসুয়াল আর্ট উৎসব’ নামেই পরিচিত। এ বার তাদের ১৮তম উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শশালায়। চলবে ৩১ মে (২-৮টা) পর্যন্ত। প্রদর্শনীতে আছে বিশিষ্ট আলোকচিত্রী অতনু পাল ও থার্ড আই সদস্যদের ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক, পপুলার ফটোগ্রাফি-সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রদর্শিত, পুরস্কৃত ও গৃহীত আলোকচিত্রের আর্কাইভাল ক্যানভাস। পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরের আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত, ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক ক্যালেন্ডারে নির্বাচিত, ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক কালেক্টর্স এডিশনের একাধিক সংস্করণে মুদ্রিত বেশ কিছু ছবি।

বাল্যলীলা

তাঁর সত্তা অনন্ত, চেতনা অপরিসীম, আনন্দ অফুরন্ত। রূপ, কান্তি, ক্রীড়া সমন্বয়ে তিনি পরমব্রহ্ম। সর্বজীব মনোহারী তাঁর লীলা। কেউ তাঁর সেবক, কেউ সখা, কেউ মাতৃসমা, কেউ প্রিয়তমা। এঁদের মাধ্যমে তিনি আস্বাদন করেন নিজেকে। এ বার সেই কৃষ্ণকে নিয়েই কলকাতা ময়ূর ললিত ডান্স অ্যাকাডেমির উদ্যোগে দেবমিত্রা সেনগুপ্ত পরিচালিত ওডিশি নৃত্য এবং নৃত্যনাট্য ‘বাল্য লীলা’ শীর্ষক এক আয়োজন হয়েছে রবীন্দ্রসদনে, ৪ জুন, সন্ধে ৬টায়। দেখা যাবে বাল্যলীলায় গোপালের ননি চুরি এবং গোষ্ঠ লীলা। এই পর্যায়ে তাঁর লীলা মাধুর্যরূপী। এখানে মা যশোদা ভক্ত, বালক গোপাল ভগবান। কী করে বালক গোপাল ধরা দিয়েছিলেন বাৎসল্য বন্ধনে— আদরে, শাসনে, কৃপা ও বাঞ্ছার সমন্বয়ে।

ব্রততী পরম্পরা

ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের আবৃত্তির জগতে একটি পরিচিত নাম। নিজের ছকবাঁধা কাজের মধ্যেই তিনি নিয়মিত অভিভাবক হিসেবে উৎসুক এবং তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। এর জন্য তৈরি করেছেন ব্রততী পরম্পরা। উচ্চারণ, শব্দ প্রক্ষেপণ এবং পরিণত শিল্পীদের অ্যালবাম প্রকাশ— সবটুকুই করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমিতে ‘শব্দিত উপহার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রকাশ পেল অনুভবের ডানায় এবং কবিতা আবহমান নামে দুটি আবৃত্তি অ্যালবাম। শ্রাবন্তী বসু পেশায় বায়োটেকনোলজির শিক্ষক, অরূপ চট্টোপাধ্যায় ইঞ্জিনিয়ার এবং শ্রবণা শীল বাচিক শিল্পী। এই তিনজনকে তিনি মিলিয়ে দিয়েছেন কবিতার আনন্দ যাত্রায়। অনুভবের ডানা-য় রয়েছে জীবনানন্দ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী থেকে একালের শ্রীজাত বা জয় গোস্বামীর কবিতা। অন্য দিকে, কবিতা আবহমান শীর্ষক অ্যালবামে ধরা পড়েছে মধুসূদন দত্ত থেকে শুরু করে মন্দাক্রান্তা সেন পর্যন্ত বাংলা কবিতার এক কালানুক্রমিক যাত্রা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোপামুদ্রা মিত্র, প্রদীপ ঘোষ, সৌমিত্র মিত্র প্রমুখ।

নৃত্যগুরু

মণিপুরী নৃত্যগুরু দেবযানী চলিহার জন্ম (১৯৩৪, ১০ মে) অসমের শিবসাগরে হলেও, তাঁর কর্মকাণ্ডের শিকড় প্রোথিত এ বাংলাতেই। ঠাকুরদা রায়বাহাদুর কালীপ্রসাদ চলিহা ছিলেন শিবসাগরে চা বাগানের মালিক। চা ব্যবসা আর কংগ্রেসি রাজনীতি তাঁদের পরিবারের আষ্টেপৃষ্ঠে। কাকা বিমলপ্রসাদ চলিহা ছিলেন অসমের দীর্ঘদিনের মুখ্যমন্ত্রী। পড়াশোনা শুরু শান্তিনিকেতনের পাঠভবনে। সেখান থেকে বেলতলা গার্লস ও সেন্ট জন ডায়োসেশন। ১৯৫০-এ ম্যাট্রিক পাশ করে নাচগান শিখতে শুরু করেন ভবানীপুরের ‘বাণী বিদ্যাবীথি’-তে। এবং কয়েক বছর ব্রজবাসী সিংহের কাছে মণিপুরী নৃত্যে তালিম নেন। আশুতোষ কলেজ হয়ে প্রেসিডেন্সিতে পড়তে পড়তেই শিলংয়ের লেডি কেন কলেজে পড়তে চলে যান। ফিরে এসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনে স্নাতকোত্তর। দিল্লিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে গুয়াহাটির এক নৃত্যশিল্পীকে দেখে বুঝতে পারেন, এত দিন যে শৈলী রপ্ত করেছেন, সেটা ঠিক মণিপুরী নয়। তাই, ১৯৬৭ সালে উদয়শংকরের পরামর্শে ইম্ফলে গুরু মাইস্নাম আমুবি সিংহের কাছে মণিপুরী নৃত্যে তালিম শুরু করেন। সঙ্গে ওখানকার ধনমঞ্জুরি কলেজে পড়ানো। এ বার এই নৃত্যগুরুকে নিয়েই ইন্দ্রজিৎ নারায়ণ ও সুদীপ সরকার বানিয়েছেন এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র ‘আ সাইলেন্ট জার্নি অব রিদ্‌ম’। সম্প্রতি তা দেখানো হল আইসিসিআর-এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkatar Korcha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE