দমদম মেট্রো স্টেশনে ন্যান্সি। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র
পাঁচ টাকার টিকিট কাটার জন্য এক মহিলা কাউন্টারে দিয়েছিলেন ৫০০ টাকার নোট! সেই ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার তুলকালাম বাধল দমদম মেট্রো স্টেশনে। অভিযোগ, ওই মহিলা আচমকা লাইন থেকে বেরিয়ে কাউন্টারের ভিতরে ঢুকে কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান। স্টেশন মাস্টার, আরপিএফ এবং সিঁথি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শেষে ওই মহিলা লিখিত ভাবে দোষ স্বীকার করায় ঘটনার যবনিকা পড়ে।
কল্যাণীর বাসিন্দা ওই মহিলা জানান, তাঁর নাম ন্যান্সি। কলকাতার একটি গ্রুপ থিয়েটারে অভিনয় করেন। তাঁর দাবি, এ দিন কলকাতার একটি মঞ্চে তাঁর নাটকের শো ছিল। তিনি বাড়ি থেকে আসছিলেন। দুপুর দেড়টা নাগাদ দমদমে নেমে তিনি যখন মেট্রো ধরতে যাচ্ছেন, তখনই এই বিপত্তি।
মেট্রো সূত্রের খবর, ওই মহিলা ৫০০ টাকার নোট দিয়ে পাঁচ টাকার টিকিট চান। কর্তব্যরত কর্মী জানান, তাঁর কাছে খুচরো নেই। তখন পাশের কাউন্টারের কর্মী বলেন, তিনি ৫০০ টাকা ভাঙিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু ওই মহিলাকে খুচরো পাঁচ টাকা জোগাড় করে টিকিট কাটতে হবে। অভিযোগ, এর পরেই ওই মহিলা চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে সোজা কাউন্টারের ভিতরে ঢুকে কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে দেন।
গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে যায় টিকিট কাউন্টারগুলি। লাইনে দাঁড়ানো অন্য যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। এর পরেই খবর দেওয়া হয় সিঁথি থানায়। ওই মহিলা পরে ফোনে বলেন, ‘‘আমি কাউকে মারধর করিনি। মেট্রোর এক কর্মীই আমার গায়ে হাত তোলেন, কটু কথাও বলেন।’’ কিন্তু তিনি কেন কাউন্টারের ভিতরে ঢুকে পড়লেন? ওই মহিলা বলেন, ‘‘ভুল করে ফেলেছি। সে জন্য মুচলেকাও দিয়েছি।’’
কিন্তু এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়ে। আরপিএফের প্রহরা সত্ত্বেও এক জন বাইরের লোক কী ভাবে কাউন্টারে ঢুকতে পারলেন? মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আরপিএফ-কর্মীরা ছিলেন বলেই তাঁরা কোনও মতে ওই মহিলাকে কাউন্টার থেকে বার করে আনেন। না হলে বড় গোলমাল হতে পারত।’’
ঘটনার সূত্রপাত দেড়টা নাগাদ। তা মেটে তিন ঘণ্টা পরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy