Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দীর্ঘ দিন জলমগ্ন রাস্তা, নাজেহাল বাসিন্দারা

প্রায় ১০০ মিটার পিচের রাস্তা। পুরো রাস্তাই জল থই থই। কেউ হাঁটছেন জুতো হাতে, কেউ দেওয়াল ধরে। ছবিটি গড়িয়ার নয়াবাজ এলাকার। এটি কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড। প্রথম বার দেখলে এটি পিচের রাস্তা, নাকি কোনও সরু খাল তা গুলিয়ে যেতে পারে। দু’পাশে বেশ কয়েকটি দোতলা বাড়িও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় তিন মাস ধরে তাঁরা কার্যত জলবন্দি রয়েছেন।

এ ভাবেই যাতায়াত। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

এ ভাবেই যাতায়াত। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

সুপ্রিয় তরফদার
শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৮
Share: Save:

প্রায় ১০০ মিটার পিচের রাস্তা। পুরো রাস্তাই জল থই থই। কেউ হাঁটছেন জুতো হাতে, কেউ দেওয়াল ধরে। ছবিটি গড়িয়ার নয়াবাজ এলাকার। এটি কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড।

প্রথম বার দেখলে এটি পিচের রাস্তা, নাকি কোনও সরু খাল তা গুলিয়ে যেতে পারে। দু’পাশে বেশ কয়েকটি দোতলা বাড়িও রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় তিন মাস ধরে তাঁরা কার্যত জলবন্দি রয়েছেন। রাস্তাটি নিচু হওয়ায় এবং নর্দমা না থাকায় মাসের পরে মাস পেরিয়ে গেলেও জল বেরোতে পারেনি।

এমন বেহাল অবস্থায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। নয়াবাজ এলাকার পীরতলার কাছের এই রাস্তাটি এলাকার অন্য রাস্তার থেকে নিচু। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রের খবর, নয়াবাজ এলাকায় ক্রমশ বসতি বাড়ছে। একের পরে এক আবাসন তৈরি হচ্ছে। কিন্তু রাস্তার তেমন উন্নতি হয়নি বলেই অভিযোগ বাসিন্দাদের। গড়িয়া রেল স্টেশন থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরের এই এলাকার গোটা রাস্তাই ভাঙা চোরা। কোথাও আবার পুকুরের ভাঙন আটকানোর জন্য রাবিশ ফেলা হয়েছে। কিন্তু নতুন রাস্তা তৈরি হয়নি। রাস্তার মাঝামাঝি ভেঙে গিয়েছে। পাশাপাশি দু’টি পুকুরের জল ওই ভাঙা অংশে এসে মিশেছে। ফলে রাস্তা পার হতে গেলে জলের মধ্যে দিয়েই যেতে হচ্ছে।

তার মধ্যে পীরতলার রাস্তার অবস্থা সব থেকে খারাপ। জলে বন্দি এলাকার এক বাসিন্দা জানান, স্থানীয় কাউন্সিলরকে বলা হয়েছে। কিন্তু তিন মাস জলবন্দি হওয়ার পরেও পুরসভার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। নর্দমা না থাকলে পাম্প করেও জল বের করা যেত। কিন্তু তাও হয়নি।

অন্য এক বসিন্দা বলেন, “কলকাতা এলাকায় থেকেও যদি প্রত্যন্ত গ্রামের মতো অবস্থা হয় তা হলে আমরা হতাশ।” স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য: জমা জল থেকে মশাবাহিত নানা রকমের রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর থেকে পানীয় জলও দূষিত হতে পারে। পুরসভা তা জানা সত্ত্বেও উদাসীন।

যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রুমকী দাস বলেন, “ওখানে দীঘর্ দিন সমস্যা রয়েছে। বিভিন্ন মিটিং-এ এই বিষয়ে আমি আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।” কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পের এক কর্তা জানান, ওই এলাকায় নিকাশির উন্নয়নের জন্য কেইআইপি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়ন হলে এই ধরনের সমস্যা থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE