বরাহনগর থানায় ধৃত প্রীতম দেব। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
অবশেষে ধরা পড়ল বরাহনগরে তরুণীর আত্মহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কিশোর। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে তাকে ধরা হয়। তবে তার মা ও বাবা এখনও অধরাই।
বরাহনগরের ফরোয়ার্ড কলোনির বাসিন্দা বছর কুড়ির ওই তরুণীর পরিবার পুলিশে অভিযোগ করে, কয়েক মাস ধরে তার উদ্দেশে কটূক্তি করত অভিযুক্ত কিশোর। এমনকী রাস্তায় ওই তরুণীর শ্লীলতাহানিও করে সে। প্রতিবাদ করলে ওই কিশোরের মা অর্চনা ও বাবা বিশু রাস্তাতেই তরুণীকে মারধর করেন। গত ২১ অগস্টও ফের ওই তরুণীর উপর চড়াও হয় তারা এবং তাদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন পড়শি। অভিযোগ, অপমান সহ্য করতে না পেরেই ২২ অগস্ট ভোরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে তিনি পুলিশকে ওই কিশোর, তার বাবা, মা-সহ কয়েক জনের নাম জানিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ছ’জন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে মঙ্গলবার হৃদয়পুর পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখানেই মাসির বাড়িতে লুকিয়ে ছিল সে। বুধবার তাকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে আইনজীবী অভিযুক্তের জন্মের শংসাপত্র পেশ করে জানান তার মক্কেল নাবালক। দেখা যায় ওই কিশোরের বয়স ১৭ বছর। আদালত তাকে আড়িয়াদহের একটি হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পুলিশ জেনেছে, অর্চনা ও বিশু বরাহনগরের আশপাশেই কোথাও লুকিয়ে আছেন। তবে তাঁদের ফোন
বন্ধ। ওই দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার নীরজ সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy