Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata News

অক্ষয়ের শুভেচ্ছা নিয়ে রিয়েল লাইফে ছুটছেন ‘কলকাতার প্যাডম্যান’

শোভন মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর এই তরুণকে পরিচিতরা অনেকেই এখন ‘কলকাতার প্যাডম্যান’ বলে ডাকছেন।

‘বন্ধন’-এর বাক্সতে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখছেন শোভন।

‘বন্ধন’-এর বাক্সতে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখছেন শোভন।

স্বরলিপি ভট্টাচার্য
শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:৫৭
Share: Save:

২০১৮। জানুয়ারির ওই শীতের সকালটা ভুলতে পারবেন না বাঁশদ্রোণীর তরুণ। ফোনটা ধরতেই ও পার থেকে নারী কণ্ঠ, ‘মুম্বই থেকে বলছি। মিস্টার অক্ষয় কুমার আপনার সঙ্গে কথা বলতে চান।’

মিনিট পাঁচেকের কিছু বেশিই কথা হয়েছিল। ‘তোমার কাজের কথা শুনেছি... চালিয়ে যাও...’— পর্দার ‘প্যাডম্যান’-এর দেওয়া অনুপ্রেরণা ছুঁয়ে গিয়েছিল ‘কলকাতার প্যাডম্যান’-এর মন।

তিনি শোভন। শোভন মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীর এই তরুণকে পরিচিতরা অনেকেই এখন ‘কলকাতার প্যাডম্যান’ বলে ডাকছেন।

কী করেন শোভন? তাঁর কথায়, ‘‘খুব ছোট্ট কিন্তু ভীষণ দরকারি একটা কাজ।’’ কলকাতা শহরে বিভিন্ন পাবলিক লেডিজ-টয়লেটে তিনি স্যানিটারি ন্যাপকিন রেখে আসছেন নিয়ম করে।

২০১৭-র অক্টোবরে, নিজের এলাকা বাঁশদ্রোণী থেকেই এই কাজ শুরু করেছেন আশুতোষ কলেজের মাস্টার ডিগ্রির পড়ুয়া। বিষয় ভূগোল। কিন্তু কতকটা যেন ইতিহাস বদলের কাজে নেমেছেন তিনি।

শোভনের প্রোজেক্টের নাম ‘বন্ধন’। নিজেই দিয়েছেন এই নাম। ‘‘২০১৭-র ভাইফোঁটার আগের দিন থেকে বোনেদের উপহার দেওয়ার জন্য শুরু করেছি কাজটা,’’— স্মিত হেসে বললেন শোভন। হাসিতে মিশে আত্মবিশ্বাস।

হঠাত্ করে এমন একটা উদ্যোগের কথা মনে এল কেন? ‘‘একদমই ব্যক্তিগত একটা অভিজ্ঞতা থেকে,’’— বললেন শোভন। গল্পটা শোনালেন, ‘‘এক বন্ধু এক দিন কসবা থেকে রবীন্দ্রসদনে আসছিল। আমরা কয়েক জন ওয়েট করছিলাম। হঠাত্ই আমাকে ফোনে বলে, যেতে পারব না। বাড়ি চলে যাচ্ছি। জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী হয়েছে? ও বলেছিল, পিরিয়ড... হাজরাতে এসে হঠাত্ই শুরু হয়েছে... আমার সঙ্গে ন্যাপকিনও নেই... ফলে ফিরতেই হবে।” এই ঘটনার পরেই চিন্তাটা মাথায় আসে শোভনের, “ওর সে দিন যেমন হয়েছিল, তেমন তো অনেকেরই হতে পারে। তার পর মনে হল— যদি প্রত্যেকটা পাবলিক ওয়াশরুমে ন্যাপকিন রাখা যায়, তা হলে কেমন হয়!’’

সেই শুরু। এখনও পর্যন্ত বাঁশদ্রোণী, গাঙ্গুলিবাগান, গড়িয়া, রথতলা, গোলপার্ক, কালীঘাট-সহ কলকাতার মোট ১৫টি পাবলিক টয়লেটে ন্যাপকিন রাখছেন শোভন।

শুরু তো হল। কিন্তু এমন কাজে তিক্ত বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে না তা কি সম্ভব! সিনেমার প্যাডম্যানকে তার সমাজ থেকে, এমনকী পরিবার থেকেও যে অপমান, যে অসম্মান হজম করতে হয়েছে তা তো শুধুই স্ক্রিপ্টের খেলা নয়। সেটা বাস্তবেরই ছবি। এবং বাস্তবিক ‘আওয়াজ খেতে’ হচ্ছে শোভনকেও। কখনও কোনও পুরুষ বন্ধু বলেছেন, ‘এই সব মেয়েদের প্রবলেম... তোর এত মাথা ঘামানোর কী দরকার? নিজের কেরিয়ার নিয়ে ভাব।’ কেউ আবার টিটকিরি দিয়েছে, ‘কীরে ন্যাপকিনের বিজনেস শুরু করলি নাকি?’ এ সব কিছুই হাসি মুখে এড়িয়ে গিয়েছেন শোভন। এগুলোকে ব্যতিক্রম হিসেবেই দেখতে চান। ‘‘প্রথম থেকেই অনেক নেগেটিভ কমেন্ট কানে এসেছে। তবে সেগুলো মনে রাখিনি,’’—নিজের কাজ নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী শোভন।

আরও পড়ুন, ‘প্যাডম্যান’কে চেনেন?

কিন্তু ‘প্যাডম্যান’ ছবিটার পর বাস্তব কতটা বদলেছে? ‘বন্ধন’-এর কাজে কি আলাদা কোনও গতি এনে দিল বলিউডি ‘প্যাডম্যান’? শোভনের দাবি, ‘‘আমি যেমন কাজ করছিলাম, করে যাচ্ছি। আমি তো আগেই এ কাজ শুরু করে দিয়েছি। হয়তো সিনেমা দেখার পর অনেকে ব্যাপারটা জানছেন বেশি করে। কিন্তু ছবিটা দেখে কেউ আমাকে ফোন করেছেন এমন এখনও হয়নি।’’ এসেছে নেগেটিভ ফিডব্যাকও। শোভন শেয়ার করলেন, ‘‘প্যাডম্যান দেখার পর ফেসবুকে একজন আমাকে বলেছে— সিনেমাটার পর এ সব ন্যাকামো করছো কেন?’’

তবে সবটাই নেতিবাচক নয়। বাড়ি থেকে বন্ধুবান্ধব, এমনকী অনেক অপরিচিতের থেকেও মিলছে সাহায্যের হাত।

উত্সাহ এসেছে প্রশাসনিক স্তর থেকেও। ‘‘আমাদের ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনিতা কর মজুমদারের সঙ্গে প্রথম কথা বলেছিলাম পারমিশনের জন্য। উনি বলেছিলেন, এ তো খুব দরকার। তুমি ভেবেছো সে জন্য তোমাকে সাধুবাদ। পারলে আজই কাজ শুরু করে দাও,’’— বললেন শোভন।

কলকাতা পুরসভার ৮ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন শোভন। তিনিও সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে বৈশ্বানরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, প্যাডম্যান... ও তো আমাদের কলকাতার প্যাডম্যান। আমরা দেখেছি উদ্যোগটা খুব ভাল। দোকান বন্ধ থাকলে প্যাডের প্রয়োজন পড়লে মহিলাদের সত্যিই খুব সমস্যা হয়। সুলভে প্যাড থাকলে তো সুবিধেই হয়। সে জন্যই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। আমার বরোর ১১টা ওয়ার্ডের ১১ জন কাউন্সিলারকে বলেছি তাঁরা যেন শোভনকে নিজেদের মতো করে সাহায্য করেন।’’

কিন্তু এই সাহায্যের পরও কিছু প্রশ্ন থাকছে। পথচলতি মহিলাদের এই সমস্যা নিয়ে কতটা ভাবছে সরকার বা পুরসভাগুলো? আদৌ ভাবছে কি? সরকারের ভাঁড়ারে এই সংক্রান্ত কাজের জন্য কি আলাদা বাজেট রয়েছে?

এ প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘পাবলিক টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন থাকবে কি না সে দায়িত্ব স্বাস্থ্য বিভাগের নয়।’’ তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ওয়ার্ডে কেউ এ নিয়ে কাজ করতে চাইলে তিনি কাউন্সিলর হিসেবে সাহায্য করবেন। পাবলিক টয়লেটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বললেন, ‘‘শোভন মুখোপাধ্যায়কে আমি চিনি না। তবে তিনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন বলে শুনছি সেটা খুবই ভাল উদ্যোগ। আমরাও চাই এমন বন্দোবস্ত পাবলিক টয়লেটে থাকুক। শোভন মুখোপাধ্যায় যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান আমরা আলোচনায় রাজি আছি। সব রকম ভাবে সহায়তা করব।’’

রাজ্যের ডিরেক্টর অব হেলথ সার্ভিস অজয় চক্রবর্তী বললেন, ‘‘শহরে সরকারি স্তরে এ ধরনের কাজের কোনও বাজেট নেই। তবে আটটি জেলায় ‘আশা’ প্রকল্পর মাধ্যমে আমরা অর্ধেক দামে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিচ্ছি। ‘আশা’র তরফে হোম ডেলিভারি করা হচ্ছে।’’

এমনিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার অভাব, কিনতে যেতে সঙ্কোচ— এ সব এখনও আমাদের সমাজে বড় আকারেই আছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের ২০১৫-১৬ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, এ দেশে শহুরে মহিলাদের ৭৭.৫ শতাংশ, গ্রামে ৪৮.৫ শতাংশ এবং সব মিলিয়ে ৫৭.৬ শতাংশ স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। অর্থাত্ গ্রাম-শহর মিলিয়ে এ দেশের ৪০ শতাংশের বেশি মহিলা ঋতুকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসম্মত প্যাড ব্যবহার করেন না। এই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মেয়েদের উপর। আবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ৩৬ শতাংশ ভারতীয় মহিলা দোকানে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে যেতে সঙ্কোচ বোধ করেন।

আরও পড়ুন, ‘প্যাডম্যান’-এর চিত্রনাট্য চুরির অভিযোগ!

শোভনের উদ্যোগটা সরাসরি স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ নয়। বরং হঠাত্ করে সমস্যায় পড়া পথচলতি মহিলাদের কথা ভেবেই তাঁর উদ্যোগের শুরু। তবে এই ধরনের উদ্যোগ ছড়ালে, শেষ পর্যন্ত তা সচেতনতা বাড়াতেও সাহায্য করবে সন্দেহ নেই!

‘বন্ধন’-এর সাপোর্ট সিস্টেম হিসেবে শোভন প্রথম থেকেই পাশে পেয়েছেন ব্যঙ্ককর্মী বাবা এবং গৃহবধূ মাকে। ‘‘যখন প্রথম শুরু করলাম বাবা বলেছিল, আগে বলতে পারতিস। তোর ন্যাপকিন কেনার কিছু টাকা আমিও দিতে পারতাম,’’— মিঠে স্মৃতি হাতড়াচ্ছে স্বপ্ন দেখা ছেলেটা। আর শোভনের মা সুতপা বললেন, ‘‘সকলে পাশে থাকুন, এটাই বলব। কাজটা যেন বন্ধ না হয়ে যায়।’’

এই বিশাল কর্মকাণ্ডের তো খরচও রয়েছে। সে সবের জোগান আসে কোথা থেকে?

প্রাথমিক ভাবে পকেটমানি দিয়ে শুরু হয়েছিল শোভনের জার্নি। তাঁর হিসেবে, ১০টা প্যান ইউজের জন্য মাসে ৩ হাজার টাকা করে খরচ হয়। একে একে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। তিনি জানালেন, মণিপাল থেকে জনৈক বিনোদ জন প্রথম আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছিলেন। আর এখন? কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন কোনও পড়ুয়া, কখনও চেক পাঠাচ্ছেন কোনও আইটি কর্মী। ‘‘পেটিএমে ৫০, ১০০ টাকা বন্ধুরাও পাঠাচ্ছে। এই বদলটা এসেছে সিনেমাটার পরেই।’’—বললেন শোভন।

প্রাথমিক ভাবে পাবলিক টয়লেটে বিনামূল্যেই স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন ‘কলকাতার প্যাডম্যান।’ কিন্তু এখন তার মূল্য ধার্য হয়েছে প্যাড পিছু দু’টাকা। পুরসভার যে কর্মী নির্দিষ্ট পাবলিক টয়লেটের দায়িত্বে থাকেন তিনিই সংগ্রহ করেন ওই টাকা। ঠিক যেমন ভাবে সিনে পর্দায় অক্ষয় কুমার নিজের হাতে তৈরি প্যাড বিক্রি করতেন দু’টাকার বিনিময়ে। হঠাত্ এমন সিদ্ধান্ত কেন? শোভন শেয়ার করলেন, ‘‘মিসইউজ হচ্ছিল। অনেকে একসঙ্গে চার-পাঁচটা বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এই দু’টাকা দাম ঠিক করি। এটা দিয়ে যা টাকা আসছে আমি তাতে আরও কিছু প্যাড কিনে রাখতে পারছি।’’


রিয়েল প্যাডম্যান অরুণাচলম মুরুগানানতথম এবং রিল ‘প্যাডম্যান’ অক্ষয় কুমার। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

সে সময় শোভনকে এক সপ্তাহ পর পর প্যাড কিনে নিয়ে যেতে দেখে ভুরু কুঁচকেছিল পাড়ার দোকানদারেরও। কাজটা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই প্যাড শেষ হয়ে যায়। ফের দোকানে কিনতে যান শোভন। দোকানদার অবাক জানতে চেয়েছিলেন, ‘তুমি কি কুকুরের জন্য ন্যাপকিন কিনছ?’ ‘‘আমি বুঝিয়ে বলার পর কিন্তু ভুল ভেঙেছিল দোকানদারের’’—বললেন শোভন। ফাগুনের দুপুরে বাড়িতে পড়ার ঘরে বসে এমন একটার পর একটা ঘটনা বলে যাচ্ছিলেন কলেজ পড়ুয়া।

এত সমর্থন সত্ত্বেও যে কাজটা খুব সহজ নয়, কাজে নেমে তা ভালমতোই টের পান শোভন। পিরিয়ড হলে এখনও আমাদের সমাজে বহু মেয়েকেই— এটা ছোঁয়া যাবে না, এটা করা যাবে না জাতীয় বহু অকারণ বিধিনিষেধের মধ্যে পড়তে হয়। রয়েছে নানাবিধ সংস্কার, কুসংস্কার। অনেকেই এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন। এটা যে একটা স্বাভাবিক ঘটনা, এটা নিয়ে জানা-বোঝা-সচেতনতা বাড়ানোটা যে খুবই জরুরি, তা কত জনই বা উপলব্ধি করেন আমাদের চারপাশে! সেই সমাজে দাঁড়িয়ে ‘বন্ধন’-এর কাজটা একেবারেই সহজ নয়। শোভন নিজেও স্বীকার করলেন সে কথা। তবে একইসঙ্গে তিনি ভীষণ রকম আত্মবিশ্বাসী— ‘‘এই সোশ্যাল ট্যাবু ভাঙবে। দেখবেন, ভাঙবেই।’’

এমনই আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন শোভন। মাস্টার ডিগ্রির পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হেলথ ট্রেনিং থেকে ডিপ্লোমা কোর্স করছেন। চলছে চাকরির প্রস্তুতিও।

অবসরে কী করেন? অমলিন হেসে জবাব এল, ‘‘অবসর নেই। পড়াশোনা আর বন্ধনের কাজেই সময় কেটে যাচ্ছে।’’

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা হয়? ‘‘হয় তো। আমার প্রচুর বন্ধু। বান্ধবীও। ওদের সঙ্গে কথা বলেও বুঝতে পারি, এটার কত প্রয়োজন।’’

শোভনের আড্ডার টপিকেও এখন ‘বন্ধন’। ‘কলকাতার প্যাডম্যান’ বিশেষণে কিঞ্চিত লজ্জা পান। বরং দ্রুত পায়ে গলির পথটা পেরিয়ে বাড়ি ঢুকেই ফের নতুন পাবলিক টয়লেটে ‘বন্ধন’-এর পারমিশান জোগাড়ের তোড়জোড় করতে শুরু করেন।

শোভনের লড়াইটা সত্যিই খুব সহজ নয়।

ভিডিও: মৃণাল কান্তি হালদার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE