ছবি: সংগৃহীত।
নিষিদ্ধ শব্দবাজির দৌরাত্ম্য ঠেকাতে রাতভর চেষ্টা চালিয়েছে পুলিশ। সঙ্গে বৃষ্টিও পুলিশকে যোগ্য সহায়তা করেছে। পুলিশের দাবি, সব মিলিয়ে এ বার বাজির দৌরাত্ম্য অনেকটাই কম। কিন্তু যে সব বাজি পোড়ানো হল, রাস্তার ধারে যত্রতত্র সেগুলির খোল-সহ নানা সামগ্রী পড়ে রইল। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টিতে সেখানে জমল জলও।
শুক্রবার বিধাননগর পুর এলাকার অনেক জায়গায় এমন আবর্জনা ও জমা জলের ছবি দেখা গেল। শনিবার ভাইফোঁটায় পুরকর্মীদের ছুটি। ফলে রাস্তা থেকে সেই সব আবর্জনা সরাতে সামনের সপ্তাহ। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ওই সব আবর্জনায় জমা জল মশার বাড়বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত অনুকূল।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বাজি পোড়ানোর বিষয়টি নতুন নয়। কিন্তু রাস্তা সাফাইয়ের দায়িত্ব পুরসভার। সেই কাজ না হলে বাসিন্দাদের দিকে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। যদিও পাল্টা প্রশাসনের একাংশের দাবি, মশাবাহিত রোগের প্রকোপ যে ভাবে বাড়ছে তাতে একে অন্যের উপরে দায় চাপানো হলে ক্ষতি সকলেরই। মেয়র পারিষদ (জজ্ঞাল অপসারণ) দেবাশিস জানা অবশ্য বলেন, ‘‘দ্রুত সাফাই করার চেষ্টা চলছে।’’
তবে শুধু বাজির খোলেই জল জমেছে এমনটা নয়, পুজোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও হয়েছিল। বহু জায়গায় খাওয়াদাওয়ার পরে ব্যবহৃত থার্মোকলের প্লেট যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের কর্মকর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘শুধু প্রশাসনের উপরে দায় চাপানো নয়। এই শহর আমাদের। তা পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে আমাদেরও দায়িত্ব থেকে যায়।’’
তবে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার চেয়েও প্রশাসনকে বেশি চিন্তায় রাখছে আবর্জনায় জমা জল। বিধাননগর পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, পুরকর্মীরা তাঁদের সাধ্য মতো চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাজির খোল বা থার্মোকলের প্লেট পড়ে থাকলে সাফাই করতে সময়ে লেগে যায়। বিশেষত ফাঁকা জমিতে তা পড়ে থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে। বর্তমানে মশাবাহিত রোগের প্রকোপকে মাথায় রেখে বাসিন্দাদের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় বাজির খোল বা থার্মোকলের প্লেট-সহ অন্য সামগ্রী এক জায়গায় জড়ো করে রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy