Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গা়ড়ির ধাক্কায় জখম মা-ছেলে

মাস দে়ড়েক আগেই এন্টালির ফিলিপস মোড়ে সিগন্যাল না মেনে রাস্তা পেরোতে গিয়ে লরির ধাক্কায় মারা যায় দুই কিশোরী। রবিবার ঠিক একই জায়গায় নিয়ম ভেঙে রাস্তা পেরোতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় জখম হলেন মা ও শিশুপুত্র।

দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৩
Share: Save:

মাস দে়ড়েক আগেই এন্টালির ফিলিপস মোড়ে সিগন্যাল না মেনে রাস্তা পেরোতে গিয়ে লরির ধাক্কায় মারা যায় দুই কিশোরী। রবিবার ঠিক একই জায়গায় নিয়ম ভেঙে রাস্তা পেরোতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় জখম হলেন মা ও শিশুপুত্র।

পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে ছেলে নিকুঞ্জকে (৪) নিয়ে কনভেন্ট রোডের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন কবিতা অগ্রবাল। সেই সময়ে পুরসভার জঞ্জাল ফেলার একটি গাড়ি কনভেন্ট রোড থেকে পদ্মপুকুরের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল সবুজ থাকা অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে রাস্তা পেরোচ্ছিলেন কবিতাদেবী। তখনই গাড়িটির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন দু’জনে। স্থানীয়েরাই দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পরেই উত্তেজিত জনতা গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায়। তাঁরাই চালককে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক করা হয় গাড়িটি।

ফিলিপস মোড়ে এ ভাবে বার বার পথ দুর্ঘটনার অভিযোগে স্থানীয়েরা এ দিন সিআইটি রোড ও কনভেন্ট রোডের মো়ড় অবরোধ করেন। এর ফলে মৌলালি থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। এজেসি বসু রোড দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ডিসি (ইএসডি) দেবস্মিতা দাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ আশ্বাস দিলে আধ ঘণ্টা পরে অবরোধ উঠে যায়।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফিলিপস মোড়ে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। তবু ট্র্যাফিক পুলিশ সব সময়ে সেখানে থাকে না। কবিতাদেবীর প্রতিবেশী প্রীতি কুন্দেরার অভিযোগ, ‘‘গত দু’ মাসে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিআইটি রোড ও কনভেন্ট রোডের মোড়ে পুলিশি নজরদারি থাকলে বেপরোয়া গতিতে নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে।’’ যদিও এক পুলিশকর্তার দাবি, ফিলিপস মোড়ে সব সময় এক জন ট্র্যাফিক পুলিশ থাকেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Car Bus Mother
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE