ক্লারা বংশরাই খোঙসিট
স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সটান চলে গিয়েছিলেন পার্ক স্ট্রিটে বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে।
বুধবার কাকভোরে কেষ্টপুরের প্রফুল্লকাননে নিজেরই ফ্ল্যাটের সামনের রাস্তায় পাওয়া গেল ইন্ডিগোর সেই বিমানসেবিকা ক্লারা বংশরাই খোঙসিটের (২৩) রক্তাক্ত দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোর চারটে নাগাদ এক মোটরবাইক আরোহী ক্লারাকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, উপর থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ক্লারার। তবে তিনি নিজে থেকে পড়েছেন, নাকি তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলা হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূল আঘাত মাথার পিছনে।
ক্লারা শিলঙের বাসিন্দা। গত অক্টোবরে তিনি কলকাতায় ইন্ডিগো-তে যোগ দেন। প্রফুল্লকাননে ক্লারার ওই ফ্ল্যাটবাড়ির জানলায় গ্রিল নেই। কাচের জানলা পাশাপাশি খোলে।
তদন্ত: ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল। বুধবার। ছবি: শৌভিক দে।
পুলিশের ধারণা, ক্লারা হয়তো মদ্যপ ছিলেন এবং বেসামাল হয়ে জানলা গলে নীচে পড়ে যান। অথবা ক্লারা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং নিজেই ঝাঁপ দেন। অথবা ক্লারাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে নিজে বেসামাল হয়ে পড়ে গিয়ে থাকলে ক্লারার দেহ যতটা দূরে পড়ে থাকার কথা, দেহটি পড়ে ছিল তার থেকেও কিছুটা দূরে। জানলা গলে পড়ার সময় নীচের কার্নিশে বা একতলার দোকানের শেডে ধাক্কা লেগেও কিছুটা দূরে চলে যেতে পারে দেহটি। তেমন কিছু ঘটেছিল কি না, ময়নাতদন্তে জানা যাবে।
মঙ্গলবার রাতে বন্ধু সুরজ সুতোদিয়া এবং এক বান্ধবী ইবলিম ননগ্রাম-ও ক্লারার ফ্ল্যাটে ছিলেন। পুলিশের দাবি, তাঁরা এতটাই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন যে কবে ক্লারার বাড়ি এসেছেন, সেটাও মনে করতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার ইবলিমেরই জন্মদিন ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই তিন জন মাঝরাতে ফ্ল্যাটে ফেরেন। সঙ্গে আর কেউ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইন্ডিগো-র এক অফিসার বলেন, ক্লারার যদি অবসাদ থাকত, তবে তা অন্য বিমানসেবিকাদের নজরে আসত। তেমন কিছু কেউ খেয়াল করেননি।
রাত পর্যন্ত ক্লারার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, ক্লারার বাবা ও মা ভিনদেশে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy