বছর দশেকের মেয়েটি তাকে ডাকত ‘মামা’ বলে। কাজেই, সেই মামা, শেখ ফিরোজ তাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে গাড়িতে তুললে খারাপ কিছু ভাবেনি মেয়েটি। বিনা বাক্যব্যয়ে, সরল বিশ্বাসে চলে গিয়েছিল। সেই সুযোগেই মেয়েটিকে গাড়ির ভিতরে ফিরোজ যৌন নিগ্রহ করে বলে জেনেছে পুলিশ।
শুক্রবার বালিগঞ্জ প্লেস ইস্টের ওই ঘটনায় ফিরোজ হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যাওয়ার পরে পাম অ্যাভিনিউয়ের বস্তির বাসিন্দারা প্রতিবেশী ফিরোজের উপরে তীব্র ঘৃণা উগরে দিচ্ছেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য, পেশায় গাড়িচালক ফিরোজ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাতে এতটা নেশা করত যে, হেঁটে বাড়ি ফিরতে পারত না। রাস্তায় পড়ে থাকত। পাড়ার বহু তরুণী তার কটূক্তির শিকার হয়েছে। কিন্তু ফিরোজ যে এতটা ঘৃণ্য কাজ করবে, সেটা তাঁরা কখনও ভাবতে পারেননি বলে জানাচ্ছেন বস্তির বাসিন্দারা।
এলাকার মানুষেরা বলছেন, একটি গাড়ি বহুক্ষণ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তার পরই ফিরোজ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। এ দিন না হলে ওই বালিকার প্রাণ সংশয়ও হতে পারত। শনিবার আলিপুর আদালতে ফিরোজকে তোলা হয়। বিচারক তাকে সোমবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ফিরোজের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিগ্রহ প্রতিরোধ আইন বা ‘পকসো’-য় মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বালিকাকে এখন রাখা হয়েছে
‘সুকন্যা’ হোমে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বাড়ির সামনে খেলছিল ওই মেয়েটি। তখনই তাকে চকলেট দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তোলে ফিরোজ।
নিগৃহীত বালিকার এক আত্মীয় এ দিন বলেন, ‘‘ফিরোজকে মামা বলে ডাকত মেয়েটি। সেই জন্য বিশ্বাস করে ওর গাড়িতে উঠে পড়েছিল সে। আমরা তখন বাড়ির কাছেই ছিলাম। কিন্তু ঘটনার কিছুই বুঝতে পারিনি।’’ সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পরেও মেয়েটি ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকদের দু্শ্চিন্তা হয়। তার পরে পুলিশই বাড়ির লোকদের খবর দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy