ছবি: সংগৃহীত
এত দিন উর্দি পরে, লাঠি হাতেই দেখা যেত কলকাতা পুলিশকে। এ বার গঙ্গাবক্ষে ‘জলক্রীড়া’র আয়োজনও করছে লালবাজার!
পুলিশ সূত্রের খবর, সপ্তাহান্তে নগরবাসীরা যাতে গঙ্গাবক্ষে জেট স্কি বা স্পিডবোটে চাপার মজা নিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী শনিবার থেকে বাবুঘাটের কাছে এই পরিষেবা শুরু হবে। প্রাথমিক ভাবে এই পরিষেবার বাণিজ্যিকীকরণ করা হবে না বলেই স্থির হয়েছে। ফলে এই মজায় মাততে টাকা লাগবে না। শহরবাসী এই নয়া পরিকল্পনায় কেমন সাড়া দেন, তা দেখে পরবর্তী কালে এটির বাণিজ্যিকীকরণ হতে পারে।
গঙ্গায় জলক্রীড়া অবশ্য নতুন নয়। র্যাফটিংয়ের জন্য দেশের সব থেকে জনপ্রিয় স্থান হৃষীকেশ। উত্তরাখণ্ড পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের মুখপাত্র পরদীপ সিংহ নেগির কথায়, ‘‘ফি বছর প্রচুর পর্যটক র্যাফটিং করতেই হৃষীকেশে আসেন। তার মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যাও প্রচুর।’’ বছর কয়েক আগে পটনায় এমনই জেট স্কি, স্পিডবোট, হাওয়া ভরা বল এনে জলক্রীড়া শুরু করেছিল এক বেসরকারি সংস্থা। তবে গঙ্গায় একটি বেসরকারি সংস্থার প্রমোদতরী চললেও রোমাঞ্চকর জলক্রীড়ার আয়োজন ছিল না।
হঠাৎ এই আয়োজন কেন? লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, কলকাতার গঙ্গাবক্ষকে কী ভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা চলছিল। খোদ পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের তরফেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, তারা উদ্যোগী হলেও উপকরণ এবং দক্ষ অপারেটর দিয়ে সাহায্য করছে এক়টি বেসরকারি সংস্থা। পুলিশ সূত্রের দাবি, মন্দারমণিতেও ওই সংস্থাটি অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস চালায়। তাদের সর্বভারতীয় লাইসেন্সও রয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বাবুঘাটের কাছে গঙ্গায় লঞ্চ, বার্জ ও নৌকা দাঁড়িয়ে থাকে। তার মধ্যে স্পিড বোট, জেট স্কি চালালে বিপদের আশঙ্কা থাকবে না? জলক্রীড়ার নিয়মও কি মানা হবে?
পুলিশ সূত্রের জবাব, সব ধরনের সাবধানতাই অবলম্বন করা হবে। স্পিড বোট, জেট স্কি চালাবেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাই। জলযানে চাপার আগে প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক ভাবে লাইফ জ্যাকেট পরতে হবে। প্রতিটি লাইফ জ্যাকেট পরীক্ষা
করে নেওয়া হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যে কোনও সময়ে এই জলক্রীড়া স্থগিত করে দেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy