Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

নম্বর প্লেটই নেই, হেলমেট তো দূর

খোদ ট্র্যাফিক পুলিশের পরিসংখ্যানই বলছে, সব থেকে বেশি হেলমেট না পরানোর প্রবণতা বাইকে বা স্কুটারে সামনে-পিছনে বসানো ছোটদের।

অনিয়ম: হেলমেট ছাড়া চার সওয়ারি, নম্বরও নেই। —নিজস্ব চিত্র ।

অনিয়ম: হেলমেট ছাড়া চার সওয়ারি, নম্বরও নেই। —নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:২৭
Share: Save:

দুর্ঘটনা কমাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। দু’চাকার যানের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ ছিল, হেলমেট ছাড়া কেউ পেট্রোল পাম্পে গেলে তাঁকে যেন তেল না দেওয়া হয়। নিয়মিত নজরদারি চালানোর কথা জানিয়েছিল ট্র্যাফিক বিভাগও। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ট্র্যাফিক নিরাপত্তা সপ্তাহে ফেসবুকে ট্র্যাফিকের সচেতনতার ছবি ছাড়া বাকি সময়টা শহরতলিতে হেলমেটহীন বাইকের ছড়াছড়ি। বালাই নেই নম্বর প্লেটেরও। হেলমেট ছাড়া পেট্রোল না দেওয়ার নির্দেশও এখন অনেকটাই শিথিল। বহু পেট্রোল পাম্পে এ-ও দেখা গিয়েছে, প্রশাসনের দেওয়া সেই নির্দেশনামার উপরেই সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন তেল সংস্থার বিজ্ঞাপনের পোস্টার।

খোদ ট্র্যাফিক পুলিশের পরিসংখ্যানই বলছে, সব থেকে বেশি হেলমেট না পরানোর প্রবণতা বাইকে বা স্কুটারে সামনে-পিছনে বসানো ছোটদের। অথচ, পরিবারের খুদে সদস্যদের দিয়েই হেলমেট পরার সরকারি বিজ্ঞাপন করানো হয়েছে বারবার। রাজনৈতিক বা অন্য ক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠদের মধ্যেও হেলমেট না পরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা।

হেলমেটহীন মোটরবাইক চালক বা আরোহীদের সচেতন করতে মাঝেমধ্যেই তাঁদের ফুল বা মিষ্টি দিয়ে ‘গাঁধীগিরি’র পথ বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা। কিন্তু সবটাই সাময়িক। ব্যারাকপুরের ডিসি (ট্র্যাফিক) ইমরান ওয়াহাব বলেন, ‘‘সচেতনতার কোনও চেষ্টাতেই কসুর করা হয় না। কিন্তু যাঁরা বাইক চড়ছেন, তাঁদেরকেও বুঝতে হবে হেলমেট পরা কেন জরুরি। তবে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা আধুনিক হওয়ায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE