নিয়ম হল, শহরবাসীর জন্য নিকাশির সংযোগ দেবে পুরসভা। তার জন্য ফি দিতে হবে পুরসভাকে। যাঁরা তা করবেন না, তাঁরা বেআইনি ভাবে বাস করছেন বলে ধরে নেবে পুর প্রশাসন। কারণ, নিকাশি না থাকলে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, শহরবাসীর প্রয়োজনটাই বড়। কেউ যদি নিজে নিকাশির সংযোগ করেন, তা হলে সেই বাসিন্দাকে সহায়তা করাটাই পুরসভার লক্ষ্য। অর্থাৎ, নিকাশির ব্যবস্থা না করে বাস করলেও পুর প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করবে না। মেয়রের কথায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত। যা শুনে হতবাক বিরোধী কাউন্সিলরেরা। সিপিএমের রত্না রায়মজুমদারের কথায়, ‘‘এ তো বেআইনি কাজকে মদত দেওয়া।’’
কলকাতার পুর আইন বলছে, বাড়ি তৈরির পরে পানীয় জল ও নিকাশির সংযোগ নিতে হবে পুরসভার কাছ থেকে। এর জন্য নির্দিষ্ট ফি-ও দিতে হয় পুরসভার কাছে। বুধবার পুরসভার অধিবেশনে সিপিএমের কাউন্সিলর চয়ন ভট্টাচার্য দাবি করেন, নিকাশির সংযোগ না নিয়েই বহু ফ্ল্যাটের আবাসিকেরা রয়েছেন। নোংরা হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। যার জেরে মশাবাহিত রোগও বাড়ছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এ নিয়ে পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নেবে কি?’’
মেয়র শোভনবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘নিকাশির ব্যাপারে পুরসভার নিয়ম মানার ক্ষেত্রে অনেক সময়ে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হয়। পুরসভার কাজ বাসিন্দাদের প্রয়োজনেই। তাই আমাদের আরও সাহসী হতে হবে।’’ নিকাশির যে অনুমোদন নিতে হয়, তা বদল করার ইঙ্গিতও দেন তিনি। জানান, বেশ কিছু বাসিন্দা ফ্ল্যাট কিনেও নিকাশির সংযোগ পাচ্ছেন না। কত দিন অপেক্ষা করবেন? এ ভাবে তো বেশি দিন চলতে পারে না। তাই বসবাস শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের কথাও পুরসভাকে ভাবতে হবে তো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy