Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জি ডি বিড়লায় খুলল ছোটদের বিভাগও

গত সপ্তাহে স্কুলের লোয়ার নার্সারি বিভাগের চার বছরের এক শিশুর উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পরে অভিভাবকেরা দল বেঁধে আন্দোলনে নেমেছিলেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

স্বস্তি: ছন্দে ফিরেছে স্কুল। সিনিয়র সেকশনের পরে খুলে গেল জুনিয়র সেকশনও। ছুটির পরে হাসিমুখে বেরোচ্ছে খুদেরা।

স্বস্তি: ছন্দে ফিরেছে স্কুল। সিনিয়র সেকশনের পরে খুলে গেল জুনিয়র সেকশনও। ছুটির পরে হাসিমুখে বেরোচ্ছে খুদেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৬
Share: Save:

টানা কয়েক দিন বন্ধ থাকার পরে উঁচু ক্লাসের পঠনপাঠন চালু হয়েছিল বৃহস্পতিবার। রানিকুঠির জি ডি বিড়লা সেন্টার ফর এডুকেশনে শুক্রবার শুরু হয়ে গেল নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত জুনিয়র বিভাগও।

গত সপ্তাহে স্কুলের লোয়ার নার্সারি বিভাগের চার বছরের এক শিশুর উপরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পরে অভিভাবকেরা দল বেঁধে আন্দোলনে নেমেছিলেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। নিজেদের সন্তানদের নিরাপত্তার খাতিরে স্লোগান, রাস্তা অবরোধ, ঘেরাও— পুরোদস্তুর আন্দোলন শুরু করে দেন তাঁরা। তার কিছু পূরণ হয়েছে। কিছু হয়নি।

স্কুল সূত্রের খবর, এ দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল যথেষ্ট ভাল। অভিভাবকেরাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন তাঁদের প্রধান কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেওয়ায়। তবে যে সব দাবি তাঁরা কর্তৃপক্ষের সামনে রেখেছিলেন, তার প্রতিটি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন কয়েক জন অভিভাবক। তবে সেই আন্দোলন স্কুল বন্ধ করে হবে না।

লাগানো হয়েছে নতুন সিসি ক্যামেরা। শুক্রবার, জি ডি বিড়লা স্কুলে।

এ দিন রানিকুঠির ওই স্কুলের সামনে দেখা গেল আগের সেই চেনা ছবি। জুনিয়র বিভাগের বাইরে লোয়ার নার্সারি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির একাধিক খুদে পড়ুয়া সাতসকালেই পিঠে ব্যাগ নিয়ে হাজির। গেট খুলতেই লাইন করে স্কুলে ঢুকতে শুরু করে তারা। পড়ুয়াদের সঙ্গে খুশির রেশ ছিল অভিভাবকদের চোখেমুখেও। সঙ্গে তৃপ্তির চিহ্ন। কারণ, গত শুক্রবার থেকে লাগাতার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে যে সব দাবি তাঁরা রেখেছিলেন, তাতে তাঁদের ‘নৈতিক’ জয় হয়েছে বলেই তাঁদের ধারণা। বিশেষ করে স্কুলের ভিতরে এবং বাইরে সি সি ক্যামেরা বসানো এবং প্রিন্সিপালকে সরানোর বিষয়ে। তবে অনেক অভিভাবক এ-ও জানিয়েছেন, বাকি দাবিগুলি থেকেও কিন্তু তাঁরা সরে আসেননি। যার মধ্যে রয়েছে ফোরাম তৈরি এবং স্কুলের প্রিন্সিপালের গ্রেফতারির বিষয়টি।

এ দিকে, স্কুল শুরু হওয়ার দিনই বিকেলে নির্যাতিতা খুদে পড়ুয়াকে নিয়ে লালবাজারে হাজির হন অভিযোগকারী বাবা-মা। ওই শিশুর বাবা পরে জানান, স্কুলের প্রিন্সিপালকে অপসারণ করা হলেও তিনি যে ভাবে তাঁর মেয়ের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছেন, তা আইনবিরুদ্ধ। এর আগে ওই প্রিন্সিপাল স্কুলের অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ নির্যাতিতার বাবা। তাঁর বক্তব্য, এখন প্রিন্সিপাল আইনবিরুদ্ধ কথা বলছেন দেখেও পুলিশ চুপ করে আছে। তাই ফের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এ দিন তিনি লালবাজারে এসেছিলেন। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার ১৬৪-এর জন্য কেন তাঁরা যেতে পারেননি, তার কারণও তদন্তকারী আইনজীবীকে জানাতে এসেছেন বলে ওই শিশুর বাবা দাবি করেন।

ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

জি ডি বিড়লা স্কুল
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE