অবশেষে বদলি-ই হলেন ময়দান থানার ওসি। শনিবার ওই ওসি রাহুল সরকারকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে বদলি করা হয় বলে জানান স্পেশাল কমিশনার (সদর) রাজীব মিশ্র। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে নিরপেক্ষতার স্বার্থে ওসিকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। ময়দান থানার নতুন ওসি হলেন অসীম আলি। এ দিন ওই থানার অতিরিক্ত ওসি-কেও বদলি করা হয়। লালবাজারের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক তদন্তের পরেই ওই দু’জনকে বদলি করা হল।
ময়দান থানায় কর্মরত ওই মহিলা হোমগার্ড ওসি-র বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (এসি)। তদন্তকারী এসি মহিলা হোমগার্ড ও অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে শনিবার রাতে লালবাজার সূত্রে জানানো হয়, ওই এসি-র হাত থেকে তদন্তের ভার সরিয়ে অন্যকে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্ত ওসি-কে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেয়েও কেন ওসি-র বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশকর্তাদের একাংশ। শনিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের হয়নি।
কেন হয়নি ফৌজদারি মামলা? পুলিশকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, মহিলা হোমগার্ড ওসি-র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান। তিনি থানায় অভিযোগ জানালে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের শীর্ষকর্তাদের পাঠানো অভিযোগপত্রে হোমগার্ড জানান, ওই ওসি দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে অশ্লীল কথা বলতেন। অভিযোগ, কিছু দিন আগে ওসি তাঁকে কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। হোমগার্ডের বক্তব্য, কম্পিউটার শেখানোর ছুতোয় ওসি তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। প্রতিবাদ করলে টাকার প্রলোভন দেখানো হয়। কাজ না হওয়ায় চাকরি থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হোমগার্ড জানিয়েছেন, এই ঘটনার কথা ওই থানার কিছু পুলিশকর্মীও জানেন। ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy